সেবা ডেস্ক: গত ৮ নভেম্বর টাঙ্গাইল বাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ঢাকা-টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেন সার্ভিসের ঘোষনা আসে। “ঢাকা-টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন সার্ভিস” নামের রেল সেবাটি উদ্ধোধন করেন মাননীয় রেল মন্ত্রী।
টাঙ্গাইল-ঢাকা এই কমিউটার রেল সেবাটিতে মোট ১৩ টি স্টপেজ রেখে নির্ধারিত হয় ভাড়ার তালিকা। কিন্তু সেবাটি চালু হওয়ার পরদিনই স্টপেজ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় টাঙ্গাইলের মহেড়া, মির্জাপুর ও গাজীপুরের মৌচাক স্টেশনকে।
স্টপেজ তালিকার সংশোধন চেয়ে মির্জাপুরের সাধারন জনতা মানব বন্ধনের আয়োজন করেন। ১০ নভেম্বর মির্জাপুরের সচেতন নাগরিকের ব্যানারে মির্জাপুর রেল স্টেশনে একটি শান্তিপূর্ন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দাবির সাথে মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদাৎ হোসেন সুমন একাত্মতা ঘোষনা করে তাতে অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে জোরালো দাবি জানানো হয় মির্জাপুর রেল স্টেশনটিতে ট্রেন স্টপেজ দেওয়ার।
পরবর্তীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেন সার্ভিস বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক বিষয়টি অবগত হলে এটি দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে মির্জাপুরবাসীর দাবি আদায়ে রেল মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে জানান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে মির্জাপুরেও ট্রেন থামবে বলে নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হয় রেল বিভাগ। তবে নাম বদলে “টাঙ্গাইল কমিউটার” ট্রেনটি “টাঙ্গাইল এক্সপ্রেস” হিসেবে চলবে ও স্টপেজ সংখ্যা কমিয়ে ৭ এ নামিয়ে আনা হয়েছে। মিটারগেজ এর পরিবর্তে চলবে ব্রডগ্রেজ ট্রেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা-টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেন সার্ভিস বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সাঈদ মো. সাইফুল্লাহ জানান আগের ট্রেনের চাইতে এই ট্রেনের সেবা ও গুনগতমান হবে অনেক ভাল।
মির্জাপুর রেল স্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা বকুলও ট্রেন থামার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।