মেলান্দহে ইম্প্যাক্ট পদ্ধতিতে বায়োগ্যাস উৎপাদন

S M Ashraful Azom
0
মেলান্দহে ইম্প্যাক্ট পদ্ধতিতে বায়োগ্যাস উৎপাদন

মো. শাহ্ জামাল, জামালপুর সংবাদদাতা ॥ জামালপুরের মেলান্দহে ইম্প্যাক্ট পদ্ধতিতে বায়োগ্যাস উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছেন-মুরগীর খামারী লাল মিয়া মিলিটারী। লাল মিয়া ছবিলাপুর নাগেরপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পরিচালিত দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রযুক্তি নির্ভর সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Integrated Management of Resources for Poverty through Alleviation Compressive ‘Impact’) ‘ইম্প্যাক্ট’ পদ্বতিতে বায়োগ্যাস উৎপাদন করছে। যা জেলায় এটিই প্রথম। এ পদ্বতিতে বিরতিহীনভাবে ১০টি ইলেক্ট্রিক্যাল ফ্যান, ২০ লাইটসহ টিভি-ফ্রিজ ও রান্নার কাজ চালানো যায়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মুরগীর বিস্টা থেকে উৎপাদিত গ্যাস পরিবেশ বান্ধব এবং সাশ্রয়ী। বিস্টার পরিত্যাক্ত রিসিডিও মাছের উত্তম খাবার এবং জমির উর্বরা শক্তির চাহিদা মেটায়।

লাল মিয়া ২০০২ সালে চট্রগ্রাম ক্যান্টমেন্ট থেকে অবসরে আসেন। গাজীপুরের এক বন্ধু আর্মি সার্জেন্ট বেলালের কাছ থেকে মুরগী ফার্ম করার সিদ্ধান্ত নেন। ১০ মার্চ/১৬ থেকে ১হাজার ২৫টি মুরগীর বাচ্চা দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে ৯শ’ ৫০টা মুরগী আছে। এতে মাসিক খরচ হয় ৫লাখ টাকা।

প্রতিমাসের প্রায় ১শ’ লিটার ডিজেল-বিদ্যুৎ খরচ হতো প্রায় ২০ হাজার টাকা। এখন ইম্প্যাক্ট পদ্ধতি ব্যবহারে শুধু শ্যালো ইঞ্জিন চালু করতে যা খরচ হয় মাত্র ২৫০ গ্রাম ডিজেল। বিদ্যুৎ বিল আসে নামমাত্র। রান্নায় জ্বালানী লাগতো ৪/৫ হাজার টাকা। ইম্প্যাক্ট পদ্ধতি ব্যবহারে খামার এবং রান্না-টিভি-ফ্রিজের বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানোর পর প্রতিবেশীদের রান্নার কাজে ফ্রি-গ্যাস ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করলে মুরগীর খামারের চাহিদা মেটানোর পর বাইরেও বিক্রি করা যাবে।

খামারী লাল মিয়া জানান-গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। শুধু যুব উন্নয়নের পদ্ধতিটি ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। বর্তমানে খামারের মুরগীগুলো ৫/৬ মাস যাবৎ ডিম দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৯শ’ ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা। মাসে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১লাখ ২০ হাজার টাকা। এখন সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে আর্থিক সফলতার মুখ দেখছি।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগি-উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: এনায়েত করিম, বায়োগ্যাস উপসহকারি প্রকৌশলী মো: জাহিদুল ইসলাম, ক্রেডিট এন্ড মার্কেটিং অফিসার আমির হামজা জানান-১৫০ সেপ্টি প্ল্যান স্থাপনে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেয় ৫০ হাজার টাকা। পরিক্ষামূলক প্রকল্পের সুফল পাওয়া গেছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top