সরিষাবাড়ীতে শত বর্ষের প্রাচীনতম কালীমাতার বার্ষিক পূজা উদযাপন

S M Ashraful Azom
0
সরিষাবাড়ীতে শত বর্ষের প্রাচীনতম কালীমাতার বার্ষিক পূজা উদযাপন
সরিষাবাড়ীতে কালীমাতার বার্ষিক পূজায় ভক্তদের আশির্বাদ দিচ্ছেন পুরহিত

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী খাগুরিয়া কালীমাতার বার্ষিক পূজা উপযাপিত হয়েছে। 

শনিবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের শত বর্ষের প্রাচীনতম কালীমাতা মন্দিরে প্রতি বছরের মতো এ পূজা চলে। পূজা দিতে আসেন ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভক্তরা। 

পূজা উপলক্ষে এলাকায় মেলা বসে। মেলায় সনাতন ধর্মের লোকজন ছাড়াও ভিড় করে বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার মানুষ। পুরহিত শ্রী রতন চন্দ্র কাঞ্চিলাল পূজা উদ্বোধন করেন।

শ্রী শ্রী খাগুরিয়া মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃটিশ শাসন আমল থেকে এ পৃজা প্রতি বছর শীত মওসুমে পালিত হয়। 

এ মন্দিরে পূজাটি শুরুর সঠিক সাল জানা না গেলেও একশ’ বছরের অধিক সময় ধরে এটি প্রচলিত বলে প্রবীন ভক্তরা জানান। তৎকালীন সময়ের ধনাট্য ব্যক্তি যধিষ্ঠির মন্ডল নামে এক হিন্দু ধার্মিক প্রাথমিকভাবে খাগুরিয়া গ্রামে এ মন্দির স্থাপন করেন বলে জানা যায়। 

এক সময় এখানে জেলে সম্প্রদায়ের লোক বেশি বাস করতেন। ওই গ্রামের পাশেই বয়ে যাওয়া ঝিনাই নদী থেকে মাছ শিকার করে তারা জীবন চালাতেন। মাছ শিকার করতে গিয়ে কয়েকজন জেলে দু’টি পুরাতন মূর্তির সন্ধান পান। মূর্তি দু’টি নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামে পাটের শলা দিয়ে মন্দির বানিয়ে তারা পূজা শুরু করেন। পরে সেখানে স্থায়ী মন্দির গড়ে তোলা হয়। 

দেশ বিভক্ত হলে পাকিস্তান শাসনের শুরুতে ডা রাম কমল পন্ডিত মন্দিরটি পুণঃনির্মাণ করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভক্ত প্রতিবছর এখানে পূজা-অর্চনা দিতে আসেন। প্রতিবছর পূজার সময় এখানে মেলা বসে। এ উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
পূজা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে মেলা

মন্দিরের পুরহিত শ্রী নিরঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ‘সবার মনোবাসনা পূরণের আশায় ভক্তগণ কালীমাতার মন্দিরে পূজা দিতে আসেন।’

ভারতের কলকাতা থেকে আসা ছবি চৌধুরী ও স্বপন চৌধুরী জানান, ‘প্রতিবছর এখানে পূজা দিতে আসি। মনের আশা পূরণের প্রার্থনায় এখানে ছুটে আসি, কালীমাতার আর্শিবাদ নিয়ে ফিরে যাই।’ 

টাঙ্গাইলের মনোরঞ্জন দাস ও ময়মনসিংহের রিতা রানীসহ অনেকেই জানান, মেয়ের বিয়ে, চাকরি, রোগ মুক্তি, সন্তানের পড়ায় মন বসতে, ব্যবসায় উন্নতিসহ বিভিন্ন মান্নত পূরণ করতে কালীমাতাকে পূজা দিতে সবাই ছুটে আসে। এ বছর প্রায় বিশ হাজার ভক্ত-শুভাকাঙ্খীর আগমন ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘পূজা ও মেলার নিরাপত্তা জন্য পুলিশ প্রশাসন মন্দির কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে।



⇘সংবাদদাতা: সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top