স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা হতে চান ফখরুল

S M Ashraful Azom
0
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা হতে চান ফখরুল

সেবা ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও বার্তায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন তিনি পাঞ্জাবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।

অথচ তাঁর নিজ জেলা ঠাকুরগাঁর কোনো মুক্তিযোদ্ধাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একাত্তরে যুদ্ধ করতে দেখেননি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাশের বাড়ির মুক্তিযাদ্ধা জেলা কমান্ডার বদরুদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মির্জা পরিবার ভারতে গিয়েছিলো ঠিকই। তবে তাঁরা সেখানে নিরাপদ জীবন যাপন করেছেন।

কাকতালীয় ভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠিক যে দিন নিজেকে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিলেন, তারপর দিন একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিবেদক ফারজানা রূপা ঠাকুরগাঁয়ে এসে পেলেন ভিন্ন তথ্য। তার প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, সেদিন সোনালী ব্যাংকে মুক্তিযুদ্ধ ভাতা নিতে এসেছেন প্রায় হাজার খানেক মুক্তিযোদ্ধা, প্রতি তিনমাসে এই নির্ধারিত দিনটিতে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিতে শামিল হোন সোনালী ব্যাংকে তাদের জন্য নির্ধারিত ভাতা নিতে। ঠাকুরগাও এর ৯২৬জন মুক্তিযোদ্ধা তাদের সন্মানী গ্রহন করেন এই ব্যাংক থেকে। যাদের অনেকেরই নজরে এসেছে মির্জা ফখরুলের ভিডিও বার্তাটি।  মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিবেদক ফারজানা রূপাকে জানায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনদিনই যুদ্ধের সামনে, গুলির সামনে আসে নাই।

অন্য আরও এক মুক্তিযোদ্ধা ফারজানা রূপাকে বলেন,  আলমগীর স্যার বলেছিল, আমাকে মুক্তিযোদ্ধা বানাইয়োনা, আমি যুদ্ধ করি নাই, অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করি নাই তো আমাকে বানাইয়োনা। 


এদিকে একাত্তর টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতে গিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম। 


ফ্রোর্ট উইলিয়াম থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ করা ভারতে প্রশিক্ষন নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত আছে ঠাকুরগাও এর ৪৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম। যেখানে মির্জা ফখরুলের নাম মেলেনি। 

ঠাকুরগাঁয়ে পরস্পর চেনা মুক্তিযোদ্ধারা ফারজানা রূপাকে জানালেন, যুদ্ধ দিনে তাদের সবার বডি নম্বর ছিল তাদের সনাক্ত করার চিহ্ন। যারা ভারতে ট্রেইনিং নিয়েছে পানিঘাটায় বা অন্যান্য আরও ১১টি সেন্টারে তাদের বডি নম্বর আছে, যে রকম আমার বডি নম্বর ৫৫০৭। মির্জা ফখরুল ইসলাম যদি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রন করে থাকেন, তাহলে তার বডি নম্বর কত? 

সরেজমিন অনুসন্ধার ও মির্জা ফখরুলের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে জানা যায়, ২৬ মার্চের পরেই তার পরিবার ভারত চলে যায়। 


২০০১ সালে জামায়াত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় এলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঠাকুরগাও সদরের ১নম্বরে যুক্ত হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম। তখনকার জেলা কমান্ডার সেই তালিকা করেছিলেন, ঐ জেলা কমান্ডারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেন নাই, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যখন ক্যাম্পে ছিলাম, যখন বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছিলাম, উনি বর্ডারে আসছেন, আমাদের খোজ খবর নিছেন, সেই হিসাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। - সূত্র: একাত্তর টেলিভিশন

⇘সংবাদদাতা: একাত্তর টেলিভিশন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top