ঘাটাইলে সবজি চাষে সাফল্য পাচ্ছেন চাষীরা

S M Ashraful Azom
0
ঘাটাইলে সবজি চাষে সাফল্য পাচ্ছেন চাষীরা

আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নে একটি গ্রাম পাচটিকরী। শীত মৌসুমে এ এলাকার চাষীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবজি চাষে। 

এখানে সারা বছরই কিছুনা কিছু সবজি উৎপাদন করে থাকেন চাষিরা। এ কারনেই এ গ্রামের নাম সবজির গ্রাম নামে খ্যাত। স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন শীতের মাত্রা কম আর কুয়াশা না থাকায় এবার সবজির আবাদ ভাল হয়েছে। 

গ্রামের অধিকাংশ চাষীরা ১২ মাসই সবজি চাষ করে থাকেন। এতে করে তারা তাদের সংসারে স্বাবলম্বি জীবন ফিরে পেয়েছেন ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। ফলে এ এলাকার মানুষ অনেকটাই সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। বাজারে সবজির দাম ভাল থাকায় দিন দিন সবজি চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। 

এ কারনে ক্ষেতে খামারে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি,লাল শাক, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, শিম, বেগুন সহ নানান জাতের দেশীয় সবজির সমাহার। আর সবজি আবাদে লাভবান হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তারা। বিগত ২০ বছর ধরে এ গ্রামের কৃষকরা এই সবজি চাষ করে আসছেন বলে গ্রামবাসি জানান।

পাচটিকরী গ্রামের সবজি চাষী সাইফুদ্দিন জানান, আমি ৮ শতাংশ জমিতে সবজি আবাদ করেছি। এক বছরে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। গত এক বছরে লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। আর ধান আবাদে খরচ বেশী। এতে প্রতিবছর লোকসান গুনতে হয়। 

বর্ষার সময় পানি উঠেনা এমন উচু জমিতে সবজি চাষ করা হয়। সরেজমিনে পাচটিকরী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ক্ষেতের পর ক্ষেত সবজি আর সবজিতে ভরপুর। এগুলো বাজারজাত করনের জন্য চাষীরা গ্রামেএকটি সমিতি করেছেন।

জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী জানান, সবজি চাষিদের নিয়ে একটি সমিতি করা হয়েছে। সমিতির সদস্য রয়েছে ৪৫ জন।সবজি ক্ষেতে পানি সেচ সুবিধার জন্য এক এনজিও থেকে ২টি স্যালো মেশিন দিয়েছে। আর সবজি বাজারজাত করনের জন্য পয়েন্ট করা হয়েছে। সকাল বেলায় চাষীরা সবজি তুলে পয়েন্টে নিয়ে জড়ো করেন। 

সেখান থেকে ঘাটাইল, মধুপুর, কালিহাতী, ভূয়াপুরসহ আশপাশের হাটবাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যান। এদিকে ভ্রমন পিপাসি সৌখিন মানুষজন ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সময় অসময়েই বেড়াতে আসেন সবজি বাগানে ভরপুর এ পাচটিকরী গ্রাম দেখতে। তারা দল বেঁধে বাগানে ফটোসেশনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। 

জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান -এ বছর ঘাটাইলে শীতকালীন সবজি চাষে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪৫০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১৭০১ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে শীতকালিন সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন- নিরাপদ সবজি চাষের লক্ষে আমরা চাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
⇘সংবাদদাতা: আব্দুল লতিফ
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top