ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কচুবাড়ি কেষ্টপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট সেনুয়া নদী। আর এ নদীর ওপরে রয়েছে পুরনো একটি সেতু। অনেক আগেই সেতুটি ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে গেলেও বর্তমানে এটি যেনো মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে রিকসা ভ্যান সহ নানা যান।
স্থানীয়রা জানায়, সেতুটি একদিকে যেমন অনেকটা দেবে গেছে তেমনি ঝুলে পড়েছে দু’পাশের পিলার ভেঙে । কিছুদিন আগে সেতটিু রক্ষার জন্য এক পাশে ইটের গাঁথুনি দেয়া হলেও তা আবারো দেবে যায়। আর অন্য পাশের গাঁথুনি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে সেতুটির দুই পাড়ের সংযোগ সড়কের মাটিও সরে গেছে। এতটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও চলাচলের বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকার লোকজন।
সম্প্রতি এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সেতুটির দুপাশের সংযোগ সড়ক রক্ষার চেষ্টা করে। যানবাহনের চাপে সেটাও বিধ্বস্ত প্রায়। যেকোনো মুহূর্তে তা ভেঙে পড়ে প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কচুবাড়ি কৃষ্টপুর গ্রামের মধু বর্মণ, পাঙ্কু, ঝেলু কুমার ও মহির উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন থেকে সেতুটি প্রায় ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কৃর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
জেলার এইচ আর ব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান চুন্নু বলেন, সেতুর দু’পাশে তিনি একদিন নিজ খরচে মাটি ভরাট করে দিয়েছেন। কিন্তু সরকারিভাবে সেতু বা সড়ক ঠিক করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সালন্দর ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল জানান, তিনি সংসদ সদস্যসহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে সেতু পুনঃনির্মাণের জন্য দরখাস্ত দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। তবে ওই গ্রামটিতে ইপিজেড স্থাপন করা হবে এমন গুঞ্জণ রয়েছে। তখন কাঁচা রাস্তাটি আরও প্রশস্ত ও পাকা করা হবে, সেই সাথে নতুন করে সেতুটিও নির্মাণ করা হবে বলে আশা করছি ।
ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ^র বর্মণ জানান, ব্রিজটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তা পর্যবেক্ষণের জন্য লোক পাঠাবোএবং দ্রুত তা পুনঃনির্মানের ব্যাবস্থা করা হবে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।