নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া :
বগুড়ার শাজাহানপুরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে শারমিন আকতার নামে এক স্কুল ছাত্রী। শারমিন আকতার উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের ভ্যানচালক ইয়াছিন আলীর মেয়ে ও ডেমাজানী আসাতননেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শারমিন আকতার নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে উপজেলার বৃ-কুষ্টিয়া উত্তরতালতলা গ্রামে নানার বাড়িতে আসে।
শারমিন আকতার জানায়, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার পরিবার বড়নগর গ্রামের সজিব (২৫) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করে। শনিবার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু এখনই বিয়ে করতে চাই না। লেখাপড়া করে শিক্ষক হতে চাই। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। বাবাকে বোঝাতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে নানার বাড়িতে এসেছি।
শারমিন আকতারের বাবা ইয়াছিন আলী জানান, দারিদ্রতার কারণে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়ে রাজি না হওয়ায় আর বিয়ে হয়নি।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফুয়ারা খাতুন জানান, বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের বাবার সাথে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এধরনে কাজ না করতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।