
সেবা ডেস্ক: অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তুলনামূলক দুর্বল ও নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় নেতাদের দল থেকে সরে যাওয়ার এবং বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পরিবর্তনেরও দাবি ঘুরছে দলের অভ্যন্তরে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি থেকে সরে যাওয়ার প্রথম ঘোষণা দিলেন লে. কর্নেল (অব.) সামসুল ইসলাম সামস।
জানা গেছে, সামসুল ইসলাম চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০০৬ সালে বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করেন। পরে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন। এবার নির্বাচন পরিবর্তী সময়ে সারা দেশের নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০ জানুয়ারি দুপুরে মেহেরপুর স্টেডিয়ামপাড়ার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে, গত ১৮ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মওদুদ আহমেদ এবং খন্দকার মোশাররফ দলকে পুনরায় দাঁড় করাতে দুর্বল ও অসফল নেতৃত্বদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, নেতাকর্মীদের পুনরায় জাগাতে হলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আবশ্যক। নাম বললে বিষয়টি খারাপ হয়, তাই বলবো নিজেদের অপারগতার কথা ভেবে পদ ধরে রেখে দলকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েন না। নিজ থেকেই সরে যান।
এরপর দলের নেতাকর্মীদের বহিষ্কারেরও দাবি তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেছেন, অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে দলকে তিনভাগে ভাগ করতে হবে। যারা এবার নির্বাচনে দলের জন্য কাজ করছে তারা এক গ্রুপ। যারা কাজ করেনি তারা এক গ্রুপ এবং যারা বিরোধিতা করেছে তারা এক গ্রুপে থাকবে। আর যারা বিরোধিতা করেছে তাদের বহিষ্কার করতে হবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।