
সেবা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর মুখ থুবড়ে পড়া জোট ঐক্যফ্রন্টকে রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে আনার কৌশল নির্ধারণ করতে সিঙ্গাপুর সফরে গেছেন ড. কামাল।
ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নির্ভরশীল সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। যদিও পরিবার দাবি করেছে, চিকিৎসার জন্যেই সিঙ্গাপুর গেছেন ড. কামাল। এদিকে ড. কামালের হঠাৎ বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
হঠাৎ করে ড. কামালের বিদেশ সফরকে রাজনীতির নতুন মোড় হিসেবে দাবি করে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা শামুসুজ্জামান দুদু বলেন, ড. কামাল সিঙ্গাপুর গেছেন ভিন্ন কারণে। অথচ সকলেই জানে তিনি চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন।
শুনেছি, নির্বাচন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতেই সিঙ্গাপুরে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। গুঞ্জন উঠেছে, তারেক রহমানের বিশেষ প্রতিনিধি লন্ডন বিএনপি নেতা আবদুল মালিক, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসবেন ড. কামাল হোসেন। বৈঠকে আগামী দিনে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন, সরকার পতনে আন্তর্জাতিক মহলে তদবির, খালেদা জিয়ার মুক্তি, ঐক্যফ্রন্টের সুবিধাবাদী নেতাদের অপসারণ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সেই অর্থে মুখ থুবড়ে পড়া ঐক্যফ্রন্টের জ্বালানি সংগ্রহ করতেই এই সফর।
এছাড়া জাতীয় নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নমনীয় অবস্থান এবং বিএনপিকে আন্দোলন বিমুখ করে রাখার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে বলেও জোর গুঞ্জন চলছে ঐক্যফ্রন্টে। জানতে পেরেছি, এই আলোচনা মূল আকর্ষণ হলো- জামায়াতকে বাদ দেয়ার প্রসঙ্গটি। কারণ জামায়াতকে নিয়ে বেশ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে ঐক্যফ্রন্টকে। যদিও ড. কামালের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর সফর করছেন। কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, ব্যক্তিগত নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে মাথায় নিয়েই সিঙ্গাপুরে পা রেখেছেন ড. কামাল। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, ড. কামাল শুধু রাজনীতির জন্য নয় বরং চিকিৎসার জন্যও সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। দুঃখের বিষয় হলো, এটি নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে। ড. কামাল একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক আলোচনা করতেই পারেন। সেটি দেশে হোক আর বিদেশেই হোক। আমাকে অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন সিঙ্গাপুরে জামায়াত প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে কি না। বিষয়টি বিস্তারিত বলবো না, তবে এতটুকু বলতে চাই- ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত নিয়ে আপত্তি থাকলেও বিএনপি জামায়াতকে ছাড়বে না। তারা আমাদের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। বিপদের দিনে তাদের ত্যাগ করে বেইমানি করবে না বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে জামায়াত বিশাল একটি ফ্যাক্ট।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।