
রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার সমাজসেবা অফিসার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে । এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগ অসহায় এক নারী নাসিমা ও মোহনগঞ্জ ইউপি সদস্য রেফাজ উদ্দিন ।
অভিযোগ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, রাজীবপুর উপজেলায় সমাজসেবা অফিসার ইসমাইল হোসেন গত ২ এপ্রিল ২০১৮ সালে যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে নানা দূর্নীতি অনিয়ম করে আসছেন।
তার আচার- আচরনে এলাকাবাসি ও ক্ষুদ অফিস কর্মচারীরা পর্যন্ত অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। অর্থের বিনিময় বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা দেওয়া। কোন সুবিধাভোগী ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার পরিবর্তে প্রতিস্থাপনের জন্য ৪হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। তবে অর্থ ছাড়া তিনি কোন কাজ করেন না। চিকিৎসাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থও আআত্মসাত করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রাজীবপুর উপজেলার কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত-আমিনুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী নাসিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী একজন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়। এ সময়ে সমাজক্যাণ মন্ত্রাণালয়ে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন।
ভাগ্যের পরিহাসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রালয়ের অনুদান পাওয়ার আগেই আমিনুল মারা যান। তার পরিবর্তে আমিনুলের স্ত্রী নাসিমা খাতুন ঐ অর্থের জন্য নতুন করে আবেদন করেন। র্দীর্ঘ ৪মাস অপেক্ষা করে আর্থিক অনুদানের চেক না পাওয়ায় রাজীবপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ইসমাইল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়।
পরে ঐ অফিসার সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয় থেকে আর্থিক অনুদানের চেক এনে দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী নাসিমার কাছ থেকে ১০হাজার টাকা ঘুষ নেন। এরপরেও ওই অফিসার অনুদানের চেক দিতে নানা টালবাহনা করতে থাকেন। কোন উপায় না পেয়ে উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাছানের সহযোগিতায় আর্থিক অনুদানের চেক পায়।
এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন তিনি সাংবাদিককের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি এমোবাইল ফোন কেটে দেন।
রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাছান বলেন, অভিযোগ করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে। আমার কাছে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।