
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জুয়েল ফকির (৩৮) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। রবিবার দিবাগত গভীর রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকার সময় তার হাতে একটি ওয়ান শুটারগান ছিল, পরে দেহ তল্লাশী করে রাইফেলের তিন রাউ- গুলি পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ জুয়েল ওই গ্রামের মৃত আয়েজ ফকিরের ছেলে। সে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী এবং তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গোলাগুলির সময় বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের(ডিবি) এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
আহত জুয়েলের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ তার বাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। সে বর্তমানে পুলিশ প্রহরায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় আহত আছমত আলী নামে ডিবি পুলিশের কনস্টেবলকে বগুড়া পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ১০ জানুয়ারি ফজলুর রহমান নামে শিবগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বগুড়া এবং মহাস্থানে ব্যাংক থেকে পঁচিশ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা পৌঁণে ৬টার দিকে তিনি উপজেলার রায়নগর এলাকায় মসলা গবেষণা কেন্দ্র অতিক্রম করার সময় একদল দুর্বৃত্ত ৩টি মোটর সাইকেল নিয়ে তার পথরোধ করে এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় সেদিন শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
বগুড়ায় পুলিশের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, শিবগঞ্জ থানার ছিনতাই মামলায় পুলিশ ইয়াছিন আলী নামে এক ছিনতাইকারিকে আটক করে। ২০ জানুয়ারি ইয়াছিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জড়িত আসামীদের আটক এবং লুট করা টাকা উদ্ধারের জন্য বগুড়া ডিবি পুলিশের সদস্যরা রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিহার পশ্চিমপাড়ায় যান। তারা জনৈক হাফিজার রহমানের বাড়ির কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
পুলিশও শর্টগান থেকে পাল্টা গুলি চালায়। ১২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার পর দুর্বৃত্তরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জুয়েল ফকিরকে আটক এবং তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। আহত জুয়েল পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
জুয়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে এবং আহত কনস্টেবলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, জুয়েল ও তার সহযোগিরা দু’মাস আগেও একই কায়দায় এক ব্যবসায়ীর ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছিলো। ওই দুটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।