জহুরুল ইসলাম, বেলকুচি প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আসামী বিএনপি কর্মী নবা হোসেনকে মঙ্গলবার আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের উপরে।
জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজোশে তাকে ছাড়িয়ে নিতে মুল ভুমিকা পালন করেছে থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান তুষার। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির একটি নির্বাচনী প্রচার মিছিল শিবপুর থেকে গোপিনাথপুর এলে কর্মী সমর্থকরা ছাত্রলীগ কর্মী কাউছার হোসেনকে মারধর করে। এঘটনায় ঐ দিন রাতে এনায়েতপুর থানায় বাদী হয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুছা ব্যাপারী বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় ৩৭ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এ মামলার আসামী নবা হোসেন মঙ্গলবার বিকালে গোপিনাথপুর বাজারের নিজ দোকানে অবস্থান কালে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহবুব হাসান তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর পরপরই এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান তুষারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের আরো কজন নেতা কর্মীরা থানায় গিয়ে এসআই মাহবুব হাসানের সাথে দেন-দরবার করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান তুষার জানান, বিএনপি কর্মী ও মামলার আসামী নবা হোসেনকে আমরা থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। তাদের সাথে আপোষের কথা হওয়ায় আমি গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। এদিকে থানায় ধরে আনা মামলার আসামীকে ছেড়ে দেয়ার বিধান না থাকলেও এনায়েতপুর থানা পুলিশ তা মানেনি।
এনায়েতপুর থানার উপ-পরিচালক (এসআই) মাহবুব হাসান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা ধরতে গিয়েছিলাম। হার্ডের অসুখ হওয়ায় থানায় না এনে ছেড়ে দিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে এনায়েতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান, আমি কর্মস্থলে না থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নই।
⇘সংবাদদাতা: জহুরুল ইসলাম
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।