
ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাল্যবিয়ের চেষ্টার অভিযোগে ভূয়া কনে ও বরের ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭দিনের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার রাতে ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিনাত রেহানা এ দন্ডাদেশ দেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আমিনুল ইসলামের (২৪) সাথে একই এলাকার নাটাবাড়ি গ্রামের বাবলু মন্ডলের মেয়ে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়। রোববার রাতে বর ও বর পক্ষের লোকজন বিয়ের উদ্যেশে কণের বাবার বাড়িতে যায়। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এসময় সংবাদ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়েকে নিয়ে বাবা বাবলু মন্ডল কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে কণের পাটিতে তার খালা তিন সন্তানের জননী নববধু সেজে ঘুমটা দিয়ে বসে পড়ে। মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক বলে পুলিশকে বাড়ি থেকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে কণে পক্ষের লোকজন।
কিন্ত কণে পক্ষের কৌশল বুঝতে পেরে পুলিশ মেয়ের খালা ও বর আমিনুল ইসলামকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কণের খালা ও বর আমিনুল ইসলামকে রাতেই ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ২০১৭ সালের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ৭(১) ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দেন। তাৎক্ষনিক ভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় দন্ডপ্রাপ্তদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: ধুনট প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।