
সেবা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু বহুমুখী যমুনা সেতুর নিকটবর্তী যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে পূর্ব পাশে এই যমুনা সেতু রিসোর্ট প্রতিষ্ঠিত। তবে অবশ্যই সবার জানা দরকার যে এই রিসোর্টটি থ্রি স্টার মর্যাদার। এটি টাংগাইল জেলা ও সিরাজগঞ্জের মাঝে অবস্থিত। রিসোর্টের ভেতরে সুইমিংপুল, জিম, হেলথ ক্লাব, বেকারি, স্যুভেনির শপ, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ এবং ইনডোর ও আউটডোর গেমসের ব্যবস্থা রয়েছে।
রিসোর্টের ভেতরে রয়েছে ১৫০ জন ধারণ ক্ষমতার রেস্টুরেন্ট। এখানে সকালের নাস্তা, দুপুরের ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে হলরুম রয়েছে দুটি। একটির নাম যমুনা অন্যটি ব্রহ্মপুত্র। প্রত্যেকটির ধারণক্ষমতা প্রায় ২শ জন। এ ছাড়াও নৌকা ভ্রমণের জন্য রয়েছে লাইফবোট ও স্পিডবোট। এই বোটগুলো দিয়ে যে কেউ রিসোর্টের সাইট পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
কিভাবে যাবেন যমুনা সেতু রিসোর্ট
যমুনা সেতু রিসোর্ট এ কয়েকভাবে যাওয়া যায়। নিজের গাড়ি, বাস অথবা ট্রেনে। ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী থেকে টাঙ্গাইলের বাসে গেলে তুলনামূলক ভাড়া কম লাগে। কমলাপুর অথবা বিমানবন্দর থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সেতুর আগের স্টেশনে নামতে হবে। এরপর হেঁটে অথবা রিকশাযোগে কয়েক মিনিটের পথ।ভূঞাপুর উপজেলা গেইট থেকে সিএনজি/ রিক্সা যোগে যমুনা সেতু বাজার থেকে কিছুদুর পরই বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু ও যমুনা রিসোর্ট।
জনপ্রতি সিএনজি ভাড়ার হার ২৫-৩০ টাকা।
জনপ্রতি রিক্সা/ ভ্যান যোগে ভাড়ার হার – ৩০-৩৫ টাকা।
উৎসবে নানান প্যাকেজ
যমুনা সেতু রিসোর্টে প্রতিদিনের বাইরেও নানা প্যাকেজ রয়েছে। বিশেষ করে ঈদ, পহেলা বৈশাখ ও থার্টিফার্স্ট নাইট প্যাকেজ। এই প্যাকেজগুলোতে মাথাপিছু খরচ ৪ হাজার টাকা। এছাড়াও যেকোনো করপোরেট ট্যুরের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থাও রয়েছে। যারা পিকনিক, ডিজে পার্টি, গেট টুগেদার, অফিসিয়াল অনুষ্ঠান করতে চান তাদের জন্য উত্তম স্থান হতে পারে এই রিসোর্ট। এজন্য সর্বনিম্ন ৫০ জন থেকে সর্বোচ্চ ৫’শ জনের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।আয়োজকরা ইচ্ছা করলে নিজেরা বা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে বললে তারাও ডিজে পার্টির সব আয়োজন করে থাকে। এখানে আলাদা রান্না করার ব্যবস্থাও রয়েছে। করপোরেট প্যাকেজে সর্বনিম্ন ব্যয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।