
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের সুইগ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ১০ জন হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১১ ফেব্রয়ারী সোমবার সকালে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেশ কিছুদিন হলো সুইগ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান গং এর সহিত ওসামন গনির ছেলে আজগর আলী গং এর এ জমিজমা গুলো নিয়ে দ্বন্দ কোলহ চলে আসছে । এরই ধারাবাহিকতা আজ মোস্তাফিজুর রহমান গং উক্ত জমিতে চাষ আবাদ করতে গেলে আজগর আলী গং বাধা প্রদান করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বেধে গেলে উভয় পক্ষের ১০ জন নারী পূরুষ আহত হন । পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত রা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান গং এর মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে তুহিন (৪০), মৃত রহমানের ছেলে নুরন্নবী (৬০), নুরুন্নবীর ছেলে ফিরোজ (৩০), রমজান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫) ও আজগর আলী গং এর ৬ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা হলেন একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী বেলারানী (৪০),রানার স্ত্রী মজিদা বেগম(৩০),হাবিজারের ছেলে শাহিন মিয়া(৫০), লিপনের ছেলে মাহিন মিয়া (১৬) , আব্দুল সামাদের ছেলে আল আলমিন (৩০), ছালামের ছেলে নুর আলম মন্ডল (২৭) গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ হতে থানায় অভিযোগ দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে উক্ত গ্রামের বাসিন্দা গাইবান্ধা জেলা বাস মিনবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সোবাহান বিচ্চু জানান, মোস্তাফিজার রহমান গং এর লোকজন এলাকায় দাঙ্গাবাজ বটে । তারা পারিবারিক ভাবে অত্র এলাকায় সন্ত্রাস নাশকতার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় একাধিক নাশকতা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে । এ জমিজমা নিয়ে আগামী দিনে যেন আর কোন রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান।
⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।