
মোগল স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত মসজিদটির গঠন-আকৃতি কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদে জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিনারও রয়েছে।
মোগল স্থাপত্যের এই মসজিদটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর অবস্থিত। এক সময় মসজিদটি আয়তাকার ছিল। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৩ দশমিক ৭২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৪ দশমিক ৫৭ মিটার। কিন্তু সংস্কারের পর মসজিদটির আকার বদলে গেছে অনেকাংশে।
মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলা দেয়ালে তিনটি মেহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবের কুলুঙ্গি টি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নকশায় অলঙ্কৃত। উভয় পাশের দুটি ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযোগে গঠিত তবে অলঙ্কারহীন।
মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নকশায় অলঙ্কৃত। মসজিদ-সংলগ্ন অর্ধবিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে। কবরটি নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর মাজার। পাশে মূল কম্পাউন্ডের বাইরে সৈয়দ নওয়াব আলীর আত্মীয়দেরও বেশ কয়েকটি কবর রয়েছে।
বর্তমানে এটি একটি বর্গাকৃতির মসজিদ এবং সাধারণ তিনগম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকৃতির মোগল মসজিদের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। সংস্কারের পর বর্তমানে এর অনেক বৈশিষ্ট্যই ভিন্ন আঙ্গিক গ্রহণ করেছে এবং সে-সঙ্গে এর প্রাচীনত্ব লুপ্ত হয়েছে এবং চাকচিক্য অনেক বেড়েছে।
সুন্দর কারুকার্যময় এ মসজিদের পূর্বদিকে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশপথ, এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আরো একটি করে সর্বমোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। মসজিদটি বর্ধিতকরণ ও সংস্কার সাধনের পরেও এর উপরস্থ তিনটি গম্বুজ ও পাঁচটি প্রবেশপথে প্রাচীনত্বের ছাপ লক্ষ করা যায়।
প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলাদেয়ালে তিনটি মিহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবের কুলুঙ্গিটি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নকশায় অলংকৃত। উভয় পাশের দুটি ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযোগে গঠিত তবে অলংকারহীন। কেন্দ্রীয় মিহরাবের পাশে একটি মিম্বার রয়েছে।
মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নকশায় অলংকৃত, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুলের নক্শা লক্ষণীয়। মসজিদ সংলগ্ন অর্ধবিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য ১৯২৯ সাল থেকে ২৪ ঘণ্টা তেলাওয়াত হচ্ছে এই মসজিদে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখনো ১ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত। বর্তমানে এখানে সাতজন ক্বারি নিযুক্ত রয়েছেন। ২ ঘণ্টা পর পর একেকজন কোরআন তেলাওয়াত করে থাকেন। এটি বিশ্বের বুকেও একটি বিরল ঘটনা। এ মসজিদে একসঙ্গে ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।