
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : “ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান, শিশুমৃত্যু ঝুঁকি কমান” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বগুড়ায় প্রায় ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় ২য় রাউন্ডে জেলায় ৬-১১ মাস বয়সি শিশুদের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ২ হাজার ৭৮৬ কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে সরকারি- বেসরকারিভাবে কাজ করবে প্রায় ৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
বুধবার বগুড়া জেলা সিভিল সার্জনের সভা কক্ষে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামসুল হক। তিনি বলেন, উন্নতমানের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যা শিশুদের সুস্থ্যভাবে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করবে। জেলায় সর্বমোট ২ হাজার ৭৮৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬২ হাজার ৫ জন শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪১৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মান উন্নত এবং পরীক্ষিত এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে না। এ কারণে কোনো অপপ্রচার চালানোর সুযোগ নেই।
স্বেচ্ছাসেবীরা কি ভাবে শিশুদের ভিচটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে, ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বগুড়া জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, এ বারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ভিটামিন এ খাওয়ান শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’। শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অত্যন্ত উচ্চমানের এবং পরীক্ষিত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. তাসনিন আহাদ সুলতানা, মেডিকেল অফিসার ডা. রশীদা সুলতানা, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের সার্বিক বিষয়ে জানান, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।