
যুবদলের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলেকজান্ডারের জেল থেকে লেখা একটি চিঠি বিতরণের ১২ ঘন্টার মধ্যেই ভোট দানে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির বহিস্কৃত প্রার্থীদের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেছেন।
এ নিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে হইচই পড়ার পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সর্বত্র জোর আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার নন্দীগ্রাম পৌর শহরসহ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণস্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে শপথ না নেওয়া বিএনপির সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেনের ছবি সম্বলিত প্রচারিত পোস্টারে লেখা রয়েছে, আওয়ামী বাকশাল সরকারের দালাল, দেশ মাতা বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলনে বাঁধা, ক্ষমতালোভী বিশ্বাসঘাতক আলেকজান্ডার ও রাফি পান্নাকে ভোট দানে বিরত থাকার মাধ্যমে বর্জন করুন। ভোট বর্জনের ডাক শিরোনামের শেষে লেখা রয়েছে, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে আলহাজ্ব মো: মোশারফ হোসেন, সংসদ সদস্য বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দলের নেতাকর্মী, সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে চাই নন্দীগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোনো ভোট নেই।
এদিকে বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে প্রচারণা চালানোয় আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ’র জয়ের পথ সহজ হলো। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা শপথ না নেওয়া বিএনপির সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি তারাও ভোট কেন্দ্রে যাবে না বলে চায়ের স্টল থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।