জামালপুরে ২০একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা

S M Ashraful Azom
0
জামালপুরে ২০একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা
মিঠু আহমেদ, জামালপুর ॥ জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দিগারবাড়ি এলাকায় ব্রি-৫৮ ও তেজ গোল্ড জাতের ধানের চারায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই শীষ বের হয়েছে। ভেজাল বীজের বীজ তলা তৈয়েরি করার জন্য ওই এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষকের ২০ একর জমির বোরো মৌসুমের ফসল হানির শঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার দিগারবাড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, হারুন মিয়া, মুছা তরফদার, আয়েজ উদ্দিনসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষকের ধানের ক্ষেতে রোপন করা চারা গাছে পরিপক্ক হওয়ার আগে শীষ দেখা দিয়েছে। ফলে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে জমির ফসল নষ্ট হওয়ার সঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাদের দাবী উপজেলার কেন্দুয়া কালিবাড়ি বাজারের কীটনাষক ব্যবসায়ী রাহিমের কাছ থেকে এ এলাকার ৩০-৪০ জন কৃষক বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরি করে। এ বীজ দিয়ে যে সকল কৃষক জমি রোপন করেছেন তারা সবাই প্রতারিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মুছা তরফদার বলেন, আমি কেন্দুয়া কালিবাড়ি বাজার থেকে কীটনাষক ব্যবসায়ী রাহিমের নিকট থেকে ১৫০টাকা মূল্যের রহমান সীড মোড়কের কয়েকটি প্যাকেট ক্রয় করে বীজতলা তৈরি করি। তিনি এ বীজের চারা দিয়ে ২০শতক জমি রোপন করেছেন। পরে ২০দিন পর ওই জমিতে সার কীটনাষক প্রয়োগ করতে গিয়ে দেখতে পায়, তার ক্ষেতের ৮০ ভাগ চারার শীষ বের হয়েছে। এখন তার ক্ষেত ভেঙ্গে আবার নতুন চারা রোপন করতে হবে।

একই এলাকার কৃষক হারুন মিয়া বলেন, আমি ওই বাজারের একই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্রি-৫৮ ও তেজ গোল্ড জাতের ধান বীজ ক্রয় করে তা দিয়ে ৭১ শতক জমি রোপন করি। তার দুই জাতের চারাতেই ৬০-৭০ ভাগ শীষ বের হয়েছে। তারও রোপনকৃত জমি ভেঙ্গে ফেলতে হবে তবে তিনি এ সময় চারা পাবে কোথায় এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। একই অবস্থা এলাকার চাঁন মিয়া সহ ৩০-৪০ জন কৃষকের।

এ ব্যাপারে মেষ্টা ইউপি ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আয়েজ উদ্দিন বলেন, আমি সহ আমার ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫০ জন কৃষক প্রায় ৩০ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৫৮ ও তেজ গোল্ড জাতের ধান রোপন করি। তাতে দেখা যায়, অনেক ক্ষেতেই ৬০-৭০ ভাগ চারাতে শীষ উঠেছে। এসব বীজ কেন্দুয়া কালিবাড়ী বাজারের কীটনাষক ব্যবসায়ী রাহিমের নিকট থেকে ক্রয় করা হয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে কীটনাষক ব্যবসায়ী রাহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমিও কেন্দুয়া কালিবাড়ী বাজারে আমার দোকানের সামনে থেকে জান্নাত ট্রেডার্স নামের এক দোকান থেকে ওই বীজগুলো সংগ্রহ করে কৃষকদের কাছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি করি। এ ব্যাপারে আমার করার কিছুই নেই। তিনি আরও বলেন, কেন্দুয়া কুটামনি এলাকার মাহবুবুর রহমান জেলেম নামের এক ব্যবসায়ী রহমান সীডস এর মোড়ক ব্যবহার করে আমাদের কাছে ওই বীজগুলো প্রতি বছরের মত এবারও বিক্রির জন্য আমাদের দোকানে রেখে যায়।

উপপরিচালক খামার বাড়ি জামালপুর কৃষিবিদ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা কৃষি অফিসকে অবগত করেছি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে।


⇘সংবাদদাতা: মিঠু আহমেদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top