
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বগুড়ায় গত দুই দিনে রেল লাইনের দুপাশে থেকে সাড়ে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চলে। শহরের তিনমাথা রেলগেট থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং ফতেহআলী সেতু সংলগ্ন দুপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ অভিযান চলে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট বিভাগীয় অফিসের অতিরিক্ত ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক সাংবাদিকদের জানান, ৪৩৫টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলবাজদের এক সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশ পেয়ে শনিবার রাতের মধ্যে লাইনের দুপাশে অস্থায়ী স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। রবিবার সকাল থেকে টিনশেড ঘরগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
গতকাল সোমবার বগুড়া শহরের তিনমাথায় এলাকায় রেলওয়ে ভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধস্থাপনাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। স্থাপনার মধ্যে ছিল রিকশা গ্যারেজ, দোকানপাট, ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করে বগুড়ার ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া বগুড়া জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট জগবন্ধু ম-ল উপস্থিতি ছিলেন। কর্মকর্তারা জানান, তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীরা বগুড়া রেল স্টেশনের আশেপাশে এবং রেল লাইনের দুধারে কোটি কোটি টাকা মূল্যের রেলওয়ের সম্পত্তিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা ও পজেশন বিক্রি করে। স্টেশনের পূর্ব পাশে লাইনের ওপর কাপড়ের ‘হঠাৎ মার্কেট’ বসে। ট্রেন এলে মার্কেট উধাও হয়ে যায়। আবার ট্রেন গেলে আগের মত অবস্থা হয়। এ মার্কেটের কারণে ওই এলাকায় মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে চলে যান। এর কয়েকদিন পর আবার ওই জায়গা দখল হয়ে যায়।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।