লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের ইসলামপুরে পাথর্শী ইউনিয়নের মুখশিমলা ফারাজী বাড়ী গ্রাম। ওই গ্রামের দিনজুর মোজাম্মেল হক ফারাজীর ৪ সদস্যের অভাবী পরিবারটি ছন ও আখপাতার তৈরি পুরনো জরাজীর্ণ একটি কুড়ে ঘরে বাস করেন।
তার স্ত্রী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী। অভাবের তাড়নায় অর্ধাহারে দিনাপিতপাত করলেও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও নাকি তাদের তেমন একটা খোঁজ খবর নেন না এমন অভিযোগ তাদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, ইসলামপুরের পাথর্শী ইউপি‘র মুখশিমলা ফারাজী বাড়ী গ্রামের প্রয়াত নবাব আলী ফারাজী প্রায় ত্রিশ বছর আগে ইহলোক ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে আমজাদ, নয়া, মজিবর ও মোজাম্মেল নামে ৪ ছেলে এবং ৪ মেয়েদের মাথাগুজার জন্য পৈত্রিকসূতে প্রাপ্ত মাত্র ৪ শতকের একটি বসত ভিটা রেখে যান। ওই বসত ভিটায় অন্যের কাছে চেয়ে কিছু ছন ও আখপাতা দিয়ে তৈরি জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরেই তাদের বসবাস। ওই বসত ভিটায় প্রয়াত নবাব আলীর ৪ ছেলের পরিবারে ১৭ জন মানুষের বসবাস। কনিষ্ঠপুত্র দিনমজুর মোজাম্মেল হকের ৪ সদস্যের অভাবী সংসারে ছন ও আখপাতার তৈরি প্রায় ২০-২৫ বছরের পুরনো জরাজীর্ণ ঘরেই বসাবাস। সামান্য বৃষ্টি হলেও পুরো ঘরের জিনিসপত্র ভিজে যায়। মাথাগুজার বিকল্প ঠাঁই না হওয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে পুড়েই চলতে তাদের জীবন প্রবাহ।
মোজাম্মেল হকের স্ত্রী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং কন্যা বাক প্রতিবন্ধী হলেও কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে দরিদ্র মানুষের জন্য বহু ঘরবাড়ী নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আবার অনেককে প্রতিশ্রুতিও দিতেছেন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের মত অসহায় ভূমিহীন প্রতিবন্ধী ৪ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।
⇘সংবাদদাতা: লিয়াকত হোসাইন লায়ন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।