
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বর্তমান থানা এলাকায় তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন না করে থানা কার্যালয় অন্যত্র স্থানান্তর না করার দাবীতে আজ বৃহস্পতিবার সাবেক ফুলছড়ি হেডকোয়ার্টার এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি ও সর্বস্তরের লোকজনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন। ফুলছড়ি থানা রক্ষা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
নদী ভাঙন জনিত কারণে ২০০৬ সালে ফুলছড়ি উপজেলা হেডকোয়ার্টার গজারিয়া থেকে উদাখালি ইউনিয়নের কালিরবাজারে স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা হেডকোয়ার্টার কালিরবাজারে স্থানান্তরের পর থেকে থানা সদর সেখানে সরিয়ে আনার স্থানান্তরের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
বর্তমান থানা কার্যালয় সাবেক উপজেলা হেড কোয়াটার এলাকায় বহাল রয়েছে। এরই পাশাপাশি কালিরবাজার এলাকায় থানা সদর স্থানান্তরের দাবি চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
এরই পাশাপাশি গজারিয়া এলাকার বাসিন্দারা তাদের থানার বিকল্প হিসেবে একটি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে। বর্তমান থানা সদর এলাকার জনগণ গজারিয়ায় অবস্থিত থানা কার্যালয় বিকল্প হিসেবে তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত ফুলছড়ি থানা কার্যালয় স্থানান্তর না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিায়ে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই দাবী বাস্তবায়নে ফুলছড়ি সাবেক উপজেলা হেডকোয়ার্টার এলাকায় শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফুলছড়ি থানার সামনে গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে। ফুলছড়ি থানা চত্বরে এ কর্মসূচির সাথে সংগতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম, ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল, ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামাণিক, ফুলছড়ি বণিক সমিতির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম লোকাল, মকবুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম কারী, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিহাদুর রহমান মওলা, ওহিদুল ইসলাম জয়, ফারুকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুদৌলা রাজু, মনোয়ার হোসেন, গজারিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আশাদুল ইসলাম প্রমুখ।বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান থানা এলাকায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বহুদিন আগেই এলাকাবাসী জমি প্রদান করেছে। কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
বর্তমান স্থানে তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন না করে ফুলছড়ি থানা কালিরবাজারে স্থানান্তর করা হলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে। এখানকার মানুষ চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, ফুলছড়ি উপজেলার প্রশাসনিক ভবন নদী ভাঙনের শিকার হওয়ায় সেটি উপজেলার কালিরবাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে ২০০৬ সালে। সেই থেকে উপজেলা সদর কালিরবাজারে স্থানান্তর করা হলেও সেই থেকে গজারিয়ার আগেরন স্থানেই অবস্থান করছে।
সম্প্রতি ফুলছড়ি থানা কালিরবাজারে স্থানান্তরের জন্য একটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু গজারিয়ায় তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন না করেই আগামী ২৪ মার্চ ফুলছড়ি থানার নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান থানা এলাকায় তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত ফুলছড়ি থানা স্থানান্তর না করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানায়।
⇘সংবাদদাতা: জেলা প্রতিনিধি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।