ভাল দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি: মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত

S M Ashraful Azom
0
ভাল দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : বগুড়ার আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলার নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, সোনাতলা উপজলায় শুরু হয়েছে এই ধান কাটামাড়াই। কাল বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির আশংকায় কৃষকেরা দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে তাদের মাঠের ধান ঘরে তুলত এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে হাট বাজারগুলোতে নতুন ধানের আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিমন ধান ৬০০ থেকে সাড়ে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা বেজায় খুশি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ১০ হাজার ৫৮৫ হেক্টর, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৮০ হেক্টর ও গাবতলি উপজেলায় ১৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এবার কৃষক ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, হিরা ও হাইব্রিড জাতের ধান বেশি রোপন করেছে। 

সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, এবার ধানের উৎপাদন বেশ ভালো। প্রতি বিঘা জমিতে ২৬-২৮ মণ ধান উৎপন্ন হয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষক খুব সহজেই ও হাতের নাগালের কাছে উন্নত বীজ, রাসায়নিক সার পেয়েছে। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে গাবতলী উপজেলা কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান জানান, সরকার এবার প্রতিমন ধান ১ হাজার ৪০ টাকা দরে মূল্য ধার্য করেছে। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু এসব উপজেলায় আলু উৎপাদন খুব একটা হয় না, তাই কৃষকরা আগে থেকেই ধান রোপন করে। সেই সব ধানই এখন কাটা শুরু হয়েছে। 

দেখা গেছে, পূর্ব বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও গাবতলী উপজেলায় পুরোদমে ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতেই ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় দ্বিগুণ মজুরী দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করতে হচ্ছে ওই এলাকাগুলোর কৃষকদেরকে। আবার কিছু কিছু এলাকায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা প্রতি বিঘা চুক্তিতে শ্রমিকদের ধান কাটতে দেখা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে এসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কথা বলে জানা গেছে, বৈশাখ মাসের ঝড়-বৃষ্টির আশংকায় কৃষকরা তাদের মাঠের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

সোনাতলা উপজেলার মহেশপাড়া এলাকার শামছুল হক মাস্টার, তেকানী এলাকার আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, পাকুল্লা এলাকার বেল্লাল মাস্টার, হাটকরমজা এলাকার ডা. আলী রেজা, ঠাকুরপাড়া এলাকার তোজাম্মেল হক, গাবতলী উপজেলার ধলিরচর গ্রামের সুলতান হাবীব ডিটল, তোজাম্মেল হোসেন, কামরুল হাসান জানান, ঝড় বৃষ্টির আশংকায় এবার তারা তরিঘরি করে বেশি মজুরি দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।


⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top