
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের হাসনের পাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে হযরত আলী নামে জামাইয়ের বাড়ীতে অসুস্থ্য পুত্রকে দেখতে এসে মেয়ের উপর জামাইয়ের অমানুষিক ও শাররিক নির্যাতন হতে রক্ষা করতে গিয়ে আপন মেয়ে জামাইয়ের ও তাদের লোকজনের হামলার স্বীকার হয়ে শশুর শাশুরী,বড় শ্যালক ও স্ত্রী আহত হয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিতসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শশুর আবুল হোসেন বাবলু মিয়া বাদী হয়ে জামাই হযরত আলী ও তার সহোদর দুই ভাই আলামিন, তুহিন ও অজ্ঞাত ৪ /৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ৪ বছর আগে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের হাসনেরপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে হযরত আলীর সহিত অভিযোগ দায়ের কারী আবুল হোসেন বাবলু মিয়ার কন্যা রনি খাতুনের সহিত বিবাহ হয়। হযরত আলীর ওরশে রনি খাতুন এক কন্যা সন্তানের মা হন। এরপর ঘটনার ৪ /৫ মাস আগে হযরত আলী শাশুরির নিকট হতে ব্যবসার কথা বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার নেন।
এদিকে ঘটনার আগের দিন হযরত আলীর বড় ভাই এনামুল হক গুরুত্ব অসুস্থ্যতার কথা জানাইলে পরেদিন ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ্য পুত্রের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলমুল নিয়ে হাসনেরপাড়ায় জামাই হযরত আলীর বাড়ীতে আসিলে দেখতে পায় যে হযরত আলীকে ভাত দেওয়া নিয়ে রনি খাতুন কে অমানুষিক নির্যাতন করছে।
এসময় রনি খাতুনের মা আয়শা খাতুন আগাইয়া আসিলে হযরত আলী শাশুড়ী আয়শা খাতুন কেও বেধড়ক মারধর করে এসময় মা কে মারধর করা দেখে হযরত আলীর বড় শ্যালক আগাইয়া আসিলে তাকেও মারধর করে হাড় ভাঙ্গা মারধর করে মাথা সজোরে আঘাত করে হযরত আলী তার ভাইয়েরা সহ কয়েকজন এসময় শশুর আবুল হোসেন বাবলু মিয়া কেও মারধর করে রক্তাত করে। এবং তাহার কাছে থাকা ব্যবসার এক লক্ষ্য ৩৫ হাজার টাকা ও শাশুরী আয়শা খাতুনের গলায় থাকা চেন ছিনিয়ে নেয়।পরে স্থানীয় আত্মীয় স্বজনেরা আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় শশুর আবুল হোসেন বাবলু বাদি হয়ে জামাই ও পুত্রসহ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।