
সেবা ডেস্ক: গত ৬ এপ্রিলে ফেনীতে অগ্নিদগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
নুসরাতের মৃত্যুর পর বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, কোনো রোগী আগুনে ১৫ শতাংশ পুড়ে গেলে আমরা ক্রিটিক্যাল হিসেবে চিহিৃত করি। সেক্ষেত্রে নুসরাতের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমাদের করার কিছুই ছিল না। নুসরাতকে বাঁচাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
গেল ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। আগুনে হত্যাচেষ্টার পর নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। পরীক্ষার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।