
সেবা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, বিভিন্ন কমিটির অনুমোদন, মধ্যস্থতা করে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা তারেক রহমান।
ইন্টারপোল কর্তৃক রেড অ্যালার্ট জারি এবং ব্রিটিশ সরকারের দ্বিধান্বিত অবস্থানে অর্জিত অর্থ হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন লন্ডনে আশ্রিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্পদ বাঁচাতে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াসহ একাধিক দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোতে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন তারেক। লন্ডন বিএনপির বাঙালি কমিউনিটি একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বরাতে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লন্ডনের কিংস্টনে তারেক রহমানের প্রতিবেশী হিসেবে পরিচিত এবং বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত নেতা আব্দুল হালিম জানান, ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করার পর থেকেই তারেক রহমানের ভেতর এক ধরণের অস্বস্তি খেয়াল করেছিলাম আমরা। এর পর আবার গত মাসে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তাকে ফেরত চাইলে পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যায়। কারণ একাদশ সংসদ নির্বাচন, বিভিন্ন কমিটির অনুমোদন এবং কিছু বেনামী ব্যবসা (অস্ত্র ব্যবসার মধ্যস্থতা) করে তারেক ১৫‘শ কোটি টাকা লন্ডন থেকে সরিয়ে নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন বলেও গুঞ্জন শুনেছি।
তিনি আরো বলেন, জানতে পেরেছি-অর্জিত অর্থের নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে তারেক মালয়েশিয়া, কাতার, কেইম্যান আইল্যান্ড এবং বার্বাডোজের মতো দ্বীপ রাষ্ট্রে অফশোর ব্যবসার জন্য বিএনপি নেতা আব্দুল মালেকের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। বাঙালি কমিউনিটিতে গুঞ্জন চাউর হয়েছে, যেকোন সময় লন্ডন থেকে বিতাড়িত হতে পারেন তারেক। বিতাড়িত হলে সেই অবৈধ সম্পদও জব্দ করবে ব্রিটিশ সরকার। সেই ভয় থেকেই তিনি হয়ত বিদেশে অর্থ পাচারের চেষ্টা করছেন। অবৈধ সম্পদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার জীবন।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে লন্ডন বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক বলেন, গুজব ও গুঞ্জনের কারণে বাঙালি কমিউনিটিতে মুখ দেখাতে পারছি না। তারেক রহমানকে ফেরত পাঠানো হবে অথবা এখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে, এসব কথা এখন বাঙালিদের মুখে মুখে ঘুরছে। তারেককে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, লন্ডনে তারেক রহমানের বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার পরিসর বাড়াতে তিনি আমাকে বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে। শুধু রাজনীতি করে তো সংসার চলে না ভাই। গুঞ্জন শুনছি, অবৈধ সম্পদ বাঁচাতে তিনি বিনিয়োগ করছেন। এগুলো সঠিক নয়। তারেককে ব্যবসা করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি কোন দেশ।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।