
জেলা প্রতিনিধি : বন্যার সময় নিউজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম এ সড়কের জেলাবাসীর স্বল্প সময়ে ফুলছড়ি উপজেলার যে কোন স্থানে যাওয়া সম্ভব প্রতিনিয়ত লোকবল জিনিসপত্রদি, মালমাত্তা বহনে সেই দুর্ভোগ শুরু হলেও আজও তা শেষ হয়নি। আর কত তুলে ধরলে সংশ্লিষ্টদের নজরে আসবে দূর্ভোগের এই একটি করুন চিত্র।
গাইবান্ধা জেলা শহর হতে -কালিরবাজার সড়কের গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি সেতু ২০১৬ সাল থেকে বেহাল অবস্থা। সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। মেরামতের অভাবে সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গত ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই রাতে ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। সে সময় পানির তীব্র ¯্রােতে এই সেতুটি দেবে গিয়ে দক্ষিণে হেলে যায়। এরপর সেতুর দুই পাশে বালু ও মাটির বস্তা ফেলে চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই দফায় দফায় বর্ষণের কারণে বালুর বস্তা সরে যায়।ফলে আবারও এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর এলজিইডির উদ্যোগে বিধ্বস্ত সেতু ঘেঁষে উত্তর পাশে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়।সেতুটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের অর্ন্তগত হলেও এটি ফুলছড়ি উপজেলাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ কার্যালয় বোয়ালি সংলগ্ন কালিরবাজারে অবস্থিত। ব্রীজটি দ্রæত নির্মাণ করা হলে, দুটি উপজেলার অত্র এলাকার সর্বসাধারণ যাতায়াতে, অসুস্থ রোগী ও কৃষিপণ্য পরিবহন এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে-এমনটাই প্রত্যাশা বোয়ালি ইউনিয়ন ও ফুলছড়ি উপজেলা ও সদর উপজেলার মানুষেরা।
এ বিষয়টি দেশের বড় ছোট পত্রিকাতে নিউজ হওয়ার পরেও আজও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলে ব্রীজটি সংস্কার বা মেরামতে কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। লক্ষাধিক মানুষের নিত্যদিনের জনদূর্ভোগ যা জীবন যাপনে বিশাল সমস্যা যোগাযোগ এ সমস্যাটি সমাধানে সংশ্লিষ্টরা সহ সরকারের নিকট দাবী জানান সচেতন মহল।
⇘সংবাদদাতা: জেলা প্রতিনিধি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।