
সেবা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় “ফণী” আতঙ্কে কদিন ধরেই দিন কেটেছে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের। চাঁপাইনবাবগঞ্জও তার ব্যতিক্রম ছিল না। আমের জন্য বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ বেশি আতঙ্কে ছিল-তাদের মূল্যবান সম্পদ আম নিয়ে।
শুক্রবার (৩মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া। যার অবসান হয় শনিবার দুপুরে। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকাশ পরিষ্কার হওয়ায় ও ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের সম্ভাবনা কেটে যাওয়াই স্বস্তি ফিওে এসেছে জেলার মানুষের মাঝে। এ যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে এখানকার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় ফণী’র বৃষ্টিকে আমের আশির্বাদ হিসেবে দেখছেন আম সংশ্লিস্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আম বাগান মালিক ও বিদেশে আম রফতানীকারক ইসমাঈল হোসেন খান শামিম জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানলে আমের ব্যাপক ক্ষতি গত। এ নিয়ে উদ্বেগ আতঙ্কে দিন কেটেছে সবার। তবে কোন রকম ঝড় ছাড়াই ফণীর কারনে শুধু বৃষ্টি হওয়ায় আমের জন্য প্রচুর উপকার হয়েছে। এ নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে জেলার আম ব্যবসায়ী বাগান মালিক সবাই।
জেলার ভোলাহাট উপজেলার আম বাগান মালিক আবদুস সাত্তার জানান,আমে মুকুল আসার পর হতেই বৃষ্টির দেখা মিলেনি। অনেক কষ্ট করে পাম্পের মাধ্যমে বাগানে পানি দিতে হয়েছে। সেটাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।পানি না পাওয়ায় আম বড় হচ্ছিল না। ফলে সময় মত আম বড় না হওয়া ও পাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা।
সদও উপজেলার আম চাষী ফারুক মৃধা জানান, একটি চক্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে ধ্বংশ করতে নানান রকম কৌশল নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টেও যেতে হয়েছে আম নিয়ে। ফলে প্রতিটি বাগানে নজরদারি বাড়িয়েছে প্রশাসন। তাদেও নজরদারি ও হয় রানির ভয়ে আমের পরিচর্জা করতে পার ছিলাম না। মহান আল্লাহ’র রহমতে ফণীর বৃষ্টি আমের অনেক উপকার করেছে। একই কথা জানান, বাগান মালিক শরিফুল, আবদুস সালামসহ অনেকেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.শফিকুল ইসলাম জানান, ফণী’র ঘূর্ণি ঝড় হলে জেলায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হত। কিন্তু শুধু বৃষ্টি হওয়ায় এটি আমের জন্য আশির্বাদ।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ নিবৃষ্টি নাহওয়ায় আম বড় হচ্ছিল না। আমে নানান রকমের রোগ বালাই দেখা দিয়েছিল। হঠাৎ কওে যথেষ্ট পরিমান বৃষ্টি হওয়ায় এখন আম দ্রুত বড় হবে। এছাড়া আম ঝওে ওপড়বে না। গুটি শক্ত হয়ে দীর্ঘায়িত হবে। প্রসঙ্গত,চলতি বছওে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টোর বাগানে উৎপাদান লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ মেট্রিক টন আম।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।