
সেবা ডেস্ক: কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কন্ঠনগর গ্রামের মোঃ তফাজ্জল (বি.এস.সি) মাষ্টারের বাড়ীর মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী থেকে জ্বীনের বাবা সেজে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী নিলুফা আক্তারের মোবাইল নাম্বারে ২৯/০৪/২০১৯ ইং তারিখ রাত ৮ টার পর অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে নিলুফা আক্তারকে সাতটি স্বর্ণের কলস দেবার লোভ দেখায় প্রতারকরা।
নিলুফা আক্তার বলেন প্রতারক আমার সাথে বলে আমি একজন দয়াল বাবা। তুমি অনেক ভাগ্যবতী। তোমাকে আমি সাতটি স্বর্ণের কলস দেবো।
তার বিনিম তুমি আমাকে মিষ্টি খাওয়াবে। সে আরো বলে তোমাকে যে আমি এই উপহারটা দেবো তা কারো কাছে বলা যাবেনা।
বললে তুমি তা পাবেনা। নিলুফা বেগম প্রতারকের প্রতারনা বুঝতে না পেরে তার কথা বিশ্বাস করে তাকে জ্বীনের বাবা মনে করে কাউকে কিছু না জানিয়ে স্বর্ণের কলস পাওয়ার লোভে প্রতারকের কথামতো এই বিকাশ নাম্বারে ০১৮৮৯৯৩৭২৭০ প্রথমবার ৮ হাজার ৫শত টাকা পাঠান।
তারপর দিন ০১/০৫/২০১৯ তারিখে প্রতারকেরা বুড়িচং সরকারি হাসপাতালের গেটের সামনের একটি গাছের নিচে তাকে ৬০ হাজার টাকা রেখে আসার কথা বলেন।
নিলুফা আক্তার প্রতারকের কথামতো দুপুর বেলা ঐ জায়গায় ৬০ হাজার টাকা রেখে আসেন। তারপর আবারো প্রতারকেরা তাকে ৭ টি স্বর্ণের কলসের হাদিয়া স্বরুপ কিছু স্বর্ণ দেওয়ার কথা বল।
তাই ০২/০৫/২০১৯ তারিখে হাসপাতালের সামনের ঐ জায়গায় নিলুফা আক্তার প্রায় ৪-৫ ভরি স্বর্ণ রেখে আসেন এবং বিকাল বেলা ০১৭১৮-১০৪৫৩০ এই নাম্বার সহ কয়েকটি নাম্বারে ২৮ হাজার টাকা পাঠান।
তারপর আবার ০৪/০৫/২০১৯ তারিখে ০১৮২০৫৪৮৯৯৮ নাম্বারে ২২ হাজার টাকা পাঠান। এভাবে স্বর্ণ ও টাকা দেয়ার পরও প্রতারকরা তাকে স্বর্ণের কলস না দিয়ে আবার টাকা চাওয়ায় নিলুফা আক্তার তাদের প্রতারনা বুঝতে পারে এবং বাড়ির মানুষকে এই বিষয়ে জানায়।
যে নাম্বার থেকে তাকে ফোন করা হতো সেই নাম্বারটি এখন মাঝে মাঝে খোলাও থাকে ।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।