
শামীম তালুকদার, বিশেষ প্রতিবেদক: ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস/মে দিবস। ১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরের রাস্তায় সংঘটিত ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাবলি থেকে এই দিবসের উৎপত্তি। আট ঘণ্টার শ্রমদিবস, মজুরি,কাজের উন্নত পরিবেশ ইত্যাদি দাবিতে ১ মে একটি শ্রমিক সংগঠন শিল্প ধর্মঘটের ডাক পরবতীতে ৩ মে শ্রমিকদের এক প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলিবর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়।
পরবতীতে ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণি কর্তৃক উৎযাপিত হয়ে আসছে।এ হলো বৈশ্বিক শ্রমিক দিবসের প্রেক্ষাপট আর বাংলাদেশে প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়নগঞ্জে(১৯৩৮) প্রথম শ্রমিক দিবস পালন হয় যা বর্তমানে সারা দেশে প্রতিবছর অনেক ঘটা করে আনন্দের সহিত পালন করা হয়।
এ শ্রমিক দিবসে সবার শ্রমিক শ্রেণীর সফলতা থাকলেও সর্বক্ষেত্রে নয় এখনও এবং তা অবাক করার মত যেমন ধরুন হোটেল বয়,পরিবহন শ্রমিক,নিমাণ শ্রমিক ইত্যাদি তাদের কারোরোই টাইমটেবিল নেই এ সভ্য জগতেও কিন্তু প্রকাশ্যে চলছে,তাদের কাজের ঝুকিও বেশি সন্মানও কম,আবার নারী শ্রমিকও যে আছে তা শ্রমিক দিবসে প্রায় না থাকার মত ভাবে দৃশ্যমান বিশেষ করে নারী গৃহকমর্ী,নারী চা শ্রমিক,নারী অভিবাসী শ্রমিক,নারী কৃষি শ্রমিকরা সবচেয়ে অবহেলিত বললেও কম বলা হবে একবারে এক্সট্রিম লেভেলের পরিমানে বৈষম্যের মধ্যে রয়েছে এ দিবসে/বছরের অন্যসময় তাদের জন্য এগিয়ে থাকা অন্য শ্রমিক শ্রেণীর সমপযায়ে আনার কোন বাস্তবিক উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।
কিন্তু এ নারীদের কষ্ট, বঞ্চনা, বৈষম্য অমানবিক, অবর্ণনীয়, অসহ্যনীয়ও। মে দিবসের প্রত্যাশা তাদের প্রতি বণিক শ্রেণীদের এ আচরণ আশু বিলুপ্ত হোক!এখন নিজেকেই প্রশ্ন করি শ্রমিক কারা মানুষ মাত্রই শ্রমিক শুধু অবস্থানগত পাথক্যের কারণে মালিক,বনিক,শ্রমিক বিভাজন হয়মাত্র। যেমন একটা অফিসে সকল স্টাফই শ্রমিক হিসাব গণ্য করা যায় তবে সেখানে মালিক যিনি বেতন প্রদান করছেন তিনি। অন্যরা শ্রম বিক্রি করেন মাসিক ভিত্তিক।
আবার একজন রিকশাওয়ালাও শ্রমিক,আবার মালিকও তিনি, যদি রিকশাটি তার হয়,এ যে এত বিভাজন আরো হাজারও উদাহরণ রয়েছে,যে বিষয়টি বলতে চাচ্ছি তা হলো শ্রমিক একজন মানুষ এটাই তার মেইন পরিচয় এবং প্রত্যেক মানুষ শ্রমিক এ মে দিবসে শ্রমিকের সংজ্ঞা পূণ নিধারণের দাবি জানাই। যেন একজন শ্রমিক গর্বে বলতে পারে আমি শ্রমিক। সে দিন আমিও বলবো,আমিও শ্রমিক হয় রাষ্টের অথবা মালিকের বা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।
এই শ্রমিকরাই শুধু ইটের পর ইট সাজিয়ে ইমারত নির্মাণ,সুতায় সুতায় বুননে শুধু কাপড় তৈরি করেন না, এই শ্রমিকরা সভ্যতা নির্মান করেন করে যাচ্ছেন শ্রমিক স্বীকৃতি আসলওে কৃতজ্ঞতা বা পুরস্কার আসে নাই। একারণেই একজন শ্রমিক গর্বে বলতে পারেছেন না আমি শ্রমিক। আর মে দিবসে চাইনা আর কোন বিভাজন আমি শ্রমিক,আমি ডাক্তার,আমি ইঞ্জিনিয়ার,আমি শিক্ষক,আমি শ্রমিক,আমি কৃষক সবাই যেন বলতে পারি আমরা সবাই মানুষ,আমরা সবাই পৃথিবীকে সবার উপযোগী করতে চাই,রেখে যেতে চাই আগামীর জন্য সুন্দর বাসযোগ্য বৈষম্যহীন।
⇘সংবাদদাতা: শামীম তালুকদার
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।