
বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সংখ্যালঘু নারায়ন চন্দ্র আচার্য্যকে অভিনব কায়দায় পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে কচুয়া উপজেলার ৩নং কোয়া ওয়ার্ডের মামুন কমিশনার।
মামুন কমিশনার বর্তমান কচুয়া উপজেলা পরিষদের প্রভাবশালী ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের ভাই।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গত ৪ জুন মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৭.৩০ ঘটিকার সময় কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া গ্রামের আবু কালামের ছেলে সুমন,নারায়ণ আচার্য্যের মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে কস্টিভ দিয়ে মোড়ানো একটি কার্টুন রেখে বলে এক লোক এসে কার্টুনটি নিয়ে যাবে।
ঈদের আগের দিন সাধারণত কাজ একটু বেশী হওয়ায় নারায়ণ রাত ১টার দিকে দোকান বন্ধ করে হোটেলে খেতে যায়। রাত ২ টার দিকে যখন সে আনোয়ারা হাসপাতালের সামনে আসে তখন মামুন কমিশনার সাথে আরো ৪-৫ জন লোক নিয়ে নারায়ণ আচার্য্যের নাম জিজ্ঞেস করে,নাম বলার সাথে সাথে তাকে এলো পাথাড়ি কিল,ঘুষি, লাথি মারতে থাকে।এক পর্যায়ে তার মাথা ধরে পাশে অবস্থিত পিকআপ ভ্যানের সাথে বাড়ি মারে। সাথে সাথে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে এখানেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। নারায়ণকে মাটিতে ফেলে দিয়ে গলায় পা দিয়ে বলে আমরা যা বলবো তুই তা বলবি তাহলে তোকে ছেড়ে দিব।প্রাণে বাচাঁর জন্য নারায়ণ রাজি হয়।
এই সময়ে তাকে মারধরের হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য কোন এক ব্যাক্তি থানায় ফোন করে জানালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। মামুন কমিশনার পুলিশকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়ে বলে এটা আমাদের ব্যাপার আমরা দেখতেছি আপনারা চলে যান।
আপনাদের এখানে কি? তখন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তখন তাকে নিয়ে নারায়ণের দোকানে গিয়ে সুমনের রাখা কার্টুনটি খোলে বলে এই বিয়ার এর ব্যবসা তুই করস এবং সোহাগ মজুমদার তোকে দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আর ছাদেক মুন্সি এই ব্যবসার জন্য টাকা ইনভেস্ট করে।
সোহাগ মজুমদার আর ছাদেক মুন্সির সাথে মামুন কমিশনারের পূর্ব শত্রুতা আছে। নারায়ণ আচার্য্য তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তা স্বীকার করে আর মামুন কমিশনার এটি ভিডিও করে। ভিডিও শেষে তার দোকানের ক্যাশ থেকে ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত ইনকাম করা নগদ ১০০০০ টাকা, বিয়ারের কার্টুন এবং এক কাস্টমারের সাভিসিং করতে দেওয়া লেনোভা কোম্পানীর ২০০০০ টাকা মূল্যবানের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আর হুমকি ধামকি দিয়ে বলে এই ঘটনা কাউকে যেন সে না জানায় আগামীকাল ঈদের দিন ৫০০০০ টাকা দিলে এই ভিডিও ডিলিট করা হবে। নতুবা এই ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে বাজার থেকে উচ্ছেদ করা হবে। বর্তমানে নারায়ণ আচার্য্য তাদের হাত থেকে বাঁচতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি না হয়ে পাশ্ববর্তী শাহরাস্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। প্রভাবশালী মামুন কমিশনারের আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং থানায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছে। কিছু দিন পূর্বে একই কাদায় শ্যামল মেকানিক্স নামক এক সংখ্যালঘুর কাছে থেকে মামুন কমিশনার তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।