
সেবা ডেস্ক: ‘আমার বয়স ৯৬ বছর। বাঁচবো আর ক’দিন। একে একে সব বন্ধুরাই চলে গেছে না ফেরার দেশে। যেকোনো মুহূর্তেই আমারও ডাক পড়তে পারে। ডাক পড়লেই চলে যাবো না ফেরার দেশে। মৃত্যুর আগে বন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সাথে একবার দেখা করতে চাই। এটাই আমার জীবনের শেষ ইচ্ছে। জানি না এ ইচ্ছে পূরণ হবে কী-না। তবে, তাঁর কাছে আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’ কথাগুলো বলছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের সহপাঠী ইয়াকুব আলী খাঁন।
১৯২৫ সালের ১ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার মীর বাজার এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পারিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইয়াকুব আলী খাঁন। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছেন পাঁচলা আজিম ইনস্টিটিউট থেকে। ইন্টারমিডিয়েট ও গ্র্যাজুয়েশন করেছেন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে। ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন ইয়াকুব আলী খাঁন। তার বাবা মরহুম ইয়াছিন আলী খান, মাতা-নবহার বিবি। তিনি তার পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান ।
ইয়াকুব আলী খাঁন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পড়ালেখা করেছেন। থেকেছেন বেকার হোস্টেলেও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো খুবই আন্তরিক ও গভীর বন্ধুত্বের। একে অপরের সঙ্গে ‘তুই-তোকারি’ সম্পর্কও ছিল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে সেইসব স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছেন বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ইয়াকুব আলী খাঁন। রাজধানীর মিরপুর-১০’র ৬ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের ২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসায় মেঝো ছেলের সংসারে নিরবে-নিভৃতে কাটছে তার জীবনের শেষবেলা। ইয়াকুব আলী খাঁনের ৮ সন্তান। ৫ মেয়ে, ৩ ছেলে। একান্ত আলাপচারিতায় এসব তথ্য জানিয়ে বেকার হোস্টেল ও ইসলামিয়া কলেজের স্মৃতিচারণ করেছেন ইয়াকুব আলী খাঁন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।