মোহাম্মদ আলী, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর থেকে শেরপুর রুটের ব্রহ্মপুত্র সেতুর উপর গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনসি স্ট্যান্ড। হুমকির মুখে ব্রহ্মপুত্র সেতু। ঝুঁকিতে রয়েছে পথচারী। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
৭দিন কর্ম বিরতির পর রবিবার সেতুর উপর স্ট্যান্ড করে চলাচল শুরু করেছে জামালপুর-শেরপুর ও জামালপুর-বকশিগঞ্জ রুটের সিএনজি।
জানা যায়, জামালপুর-বকশিগঞ্জ রৌমারী, রাজিবপুর ও জামালপুর-শেরপুর রুটগুলো প্রতিদিন দুই শতাধিক সিএনজি চলাচল করে থাকে। বিগত ৭দিন এইসব রুটগুলোতে সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রী সাধারণ ও চালকদের।
স্ট্যান্ডে অপেক্ষমান জামালপুর-বকশিগঞ্জ ও জামালপুর-শেরপুর রুটের দুলু, সাদ্দাম ও হাসেম আলীসহ আরও বেশকিছু সিএনজি চালকদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, জামালপুর মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের চাঁদা আদায়কারীদের অতিরিক্ত দাবি ও দুর্ব্যাবহারের কারণে তারা গত ৭দিন ওই রুটগুলোতে সিএনজি চলাচল বন্ধ রেখেছিল। রবিবার শেরপুরে শ্রমিক সংগঠন ও আওয়ামী নেতৃবৃন্দের পরামর্শে পূর্বের স্ট্যান্ড জামালপুর ত্যাগ করে সেতুর উপর স্ট্যান্ড করেছেন।
এ ব্যাপারে জামালপুর শ্রমিক সংগঠন ৩৫১৭ এর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন মুকুল বলেন, চাঁদা আদায়কারী মান্নান ও তার সহকারী পারভেজের অতিরিক্ত দাবি ও দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে শ্রমিকরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে আমরা ওই দুইজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক মৌখিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু, তাতেও তারা ক্ষান্ত না হওয়ায় চালকরা জামালপুর স্ট্যান্ড ত্যাগ করে সেতুর উপর আশ্রয় নিয়েছেন।
সিএনজি মালিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ সেতু বলেন, শ্রমিকদের এমন অভিযোগ অমূলক। জামালপুর মালিক সমিতি বা শ্রমিক সংগঠনের বাড়তি চাঁদা দাবির কারণে তারা স্ট্যান্ড ত্যাগ করেনি। বরং শেরপুর মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং পৌর ট্যাক্সের নামে অতিরিক্তি চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদেই তারা কর্ম বিরতিতে গিয়েছিল।
পথচারীদের অভিমত, চালকদের হয়রানি বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসন সর্বপুরি পথচারীদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে সেতুর উপর থেকে স্ট্যান্ড অপসারণ করে একটি স্থায়ী সিএনজি স্ট্যান্ডের বিকল্প নেই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।