
রফিকুল আলম, ধুনট প্রতিনিধি: ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্ত কর্মসৃজন শ্রমিকদের মনে ছিল না সেই আনন্দ। শরীরের ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে ঈদের আগে মজুরীর টাকা না পেয়ে তাদের মুখ মলিন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩০ মে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে সোমবার শ্রমিকদের ভাগ্যে জুটেছে মজুরীর টাকা। এতে তাদের মলিন মুখে ঈদের খুশি ফুটে উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৫মে থেকে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই কাজে এক হাজার ৪৬১জন শ্রমিক (নারী-পুরুষ) নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিজন শ্রমিক ২০দিন কাজ করে ৪ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত কাজ করে মজুরী না পাওয়ায় শ্রমিকেরা হতাশায় পড়েছিল।
জানা যায়, ৪০দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে শ্রমিকদের মজুরীর টাকা ছাড় হয়। কিন্ত ১৯ মে থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈদেশিক প্রশিক্ষনের জন্য অষ্ট্রেলিয়ায় অবস্থান কারনে এই টাকা ছাড় হয়নি। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভ‚মি) আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা অর্পন করা হয়নি। ফলে শ্রমিকদের মজুরীর টাকা উত্তোলনে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।
পুকুরিয়া গ্রামের শ্রমিক সর্দার হায়দার আলী জানান, ২০দিন কাজ করে ঈদের আগে আমরা মজুরীর টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। কিন্ত এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা টাকা পেয়ে ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল আলিম বলেন, দাপ্তরিক জটিলতার কারনে শ্রমিকদের মজুরীর টাকা ছাড় করতে বিলম্ব হয়েছিল। অবশেষে জটিলতার অবসান ঘটিয়ে শ্রমিকদের মজুরীর টাকা প্রদান করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জিনাত রেহানা জানান, ২৯মে (বুধবার) সন্ধ্যায় তাকে আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা অর্পন করেছেন জেলা প্রশাসন। এ অবস্থায় শ্রমিকেরা বিল-ভাউচার জমা দিতে বিলম্ব করায় তাদের মজুরীর টাকা ছাড় করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বিল ভাউচার জমা দেওয়ায় সোমবার শ্রমিকেরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পেরেছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।