
শফিকুল ইসলাম, রৌমারী প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা বড়াইবাড়ী, ঝাউবাড়ী, পুর্ব বারবান্দা, চুলিয়ারচর, বাওয়াইর গ্রাম, বকবান্দা, খেওয়ারচর, পূর্ব দুবলাবাড়ী, পাটা ধোয়াপাড়া, চর কলাবাড়ী, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ীসহ প্রায় ১১টি গ্রামের প্রায় ২২ হাজার মানুষ ইজলামারী নামক এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজটি নির্মানে ঠিকাদারের গাফিলাতিতে এলাকার মানুষের যাতায়াতে চরমভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একমাত্র রৌমারী উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ঐ গ্রাম গুলো।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের পড়–য়া শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাবেক এমপি রুহুল আমিনসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। ইজলামারী নদীর উপর সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সরকারী বরাদ্দ দেয়া ব্রীজটি নির্মান কাজে গাফিলাতিতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওই ১১ গ্রামের মানুষ।
এলাকাবাসি দীর্ঘদিন থেকে জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাট-বাজার স্কুল,কলেজে চলাচল করছে। দীর্ঘদিনের জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজের দাবীতে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের প্রচেষ্টায় এলাকার মানুষের একটি ব্রীজের বরাদ্দ পাশ করেন যাহা ৪কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত ২০১৭ সালের শেষের দিকে ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলাতিতে অদ্যবধি ব্রীজের নির্মান কাজটি শেষ হয়নি।
এবিষয়ে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এমপি হওয়ার পরপরেই এ এলাকার মানুষের ইজলামারী নামক এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর দীর্ঘদিনের দাবী এবং আমার বাড়ীও তাদের সাথে। ফলে সেই সুবাদে এমপি হয়েই প্রথমেই জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজের বরাদ্দ এনে দেওয়া হয়, তা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার কাজটি পায়।
গত ২০১৭ সালের শেষের দিকে ব্রীজ নির্মান কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ এলাকার জনমানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে আমার দাবী যত দ্রæত সম্ভব ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ করে এলাকার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি নিরসন করা হউক।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।