
সেবা ডেস্ক: মানুষ তার জীবিকার প্রয়োজনে শহরে আবাস গড়লেও মন পড়ে থাকে অন্য কোথাও, যেখানে রয়েছে নাড়ির টান। ইটপাথরের এ শহর ছেড়ে সবাই ফিরতে চায় তাদের নিজ গ্রামে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন শিল্প নগরী খুলনার বিপুলসংখ্যক মানুষ। ক্রমেই শূন্য হচ্ছে নগরী। আর পূর্ণ হচ্ছে গ্রাম। নীরব হচ্ছে নগরী, মুখর হচ্ছে গ্রাম।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে খুলনা ছেড়েছেন অধিকাংশ মানুষ। আর শেষ কর্মদিবসের কারণে যারা ছিলেন, তারাও রোববার (৩ জুন) দুপুরে পর ভিড় জমিয়েছেন বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন কিংবা লঞ্চঘাটে। আর এতে করে খুলনা শহরের অধিকাংশ এলাকাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মহানগরীর ভেতরে কমে গেছে গাড়ির চাপও।
কিছুটা স্বস্তিতে আছেন খুলনায় দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও। গাড়ির বহর সামলাতে হাতের ইশারায় মিনিট গুনতে হচ্ছে না তাদের।
খুলনায় বসবাসকারী মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (নৌ) মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আনন্দ মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে উপভোগ করতে স্ত্রীকে নিয়ে পুরানো ঢাকার নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করার আনন্দটাই আলাদা।
এদিকে ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খুলনায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে খুলনা মহানগরীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অগ্রিম পদক্ষেপ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যদের মাধ্যমে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে এখন অনেকটা ফাঁকা খুলনা। নেই চিরচেনা সেই কর্মব্যস্ত রূপ। আর এমন সময়ে অপরাধীচক্র যেন তৎপর হওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঈদে নগরীতে উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তকর্তারা। তারা বলছেন, পরিপূর্ণ নিরাপত্তায় ঈদের সব কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য সর্বোচ্চ ও সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, মহানগরীর আটটি থানা এলাকায় ঈদগাহসহ গুরুপূর্ণ স্থানগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে ও পরে খুলনা মহানগরীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং স্টেশনগুলোতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ যেন অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি এবং ছিনতাইকারীর কবলে না পড়ে, সে ব্যাপারে তারা কাজ করছেন। পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও একই সঙ্গে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।