
সেবা ডেস্ক: জনগণের আস্থায় না থাকাটাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। গত শুক্রবার (৩১ মে) রাতে একাত্তর টিভির টক শো ‘একাত্তর জার্নাল’-এর ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির পাঁচ এমপির শপথ নেওয়ার পেছনে বড় কারণ ছিল তাদের লোভ। এরা একটা দিনের জন্য বলেছেন যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে সংসদে যাবো না? এই পাঁচজনের কেউ বলেছেন? বলেন নাই। তাহলে তাদের সংসদে যাওয়াটা জরুরি। বেগম জিয়ার মুক্তিটা কিন্তু জরুরি না।’
গয়েশ্বরের এমন মন্তব্য নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপির পাঁচ এমপির সংসদে যোগদান নিয়ে অনেক কথা আছে। দলের নেতৃবৃন্দই বিষয়টিকে ঘোরপ্যাঁচের মধ্যে নিয়ে গেছেন। প্রথমে বহিষ্কার করা হলো। পরে আবার যোগ দেওয়া হলো। এসব নিয়ে আমরা নিজেরা যতই রাখঢাক রেখে কথা বলতে চাই; কিন্তু জনগণ তো তার মুখ বন্ধ রাখে না। জনগণ তো কথা বলেই। তাদের আলাদা একটা কনসেপশন আছে। জনগণকে পক্ষে না রেখে, তাদের আস্থায় না থাকাটাই আমাদের (বিএনপির) ব্যর্থতা।
বারবার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। যে দল নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকে কিভাবে? বিএনপির এমন ব্যর্থতার এবং বিএনপির প্রতি জনগণের অনাস্থার কারণ জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট তৈমুর বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব একজন বিলাসী রাজনীতিবিদ। উনার রাজনীতি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে প্রাঞ্জল বক্তব্য আর প্রয়োজনে চোখের পানি ফেলা পর্যন্তই। উনি দলকে ইন্সট্রাক্ট (পরিচালনা) করতে ব্যর্থ হয়েছেন।'
তিনি বলেন, আমার রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য। আমি যেহেতু দল করি, দলের নিয়ম মেনেই আমাকে কথা বলতে হবে। তবে আমরা বা বিএনপি হাইকমান্ড যত কৌশলই করুক সেখানে জনগণ বিষয়টি কোন আঙ্গিকে গ্রহণ করবে সেদিকে খেয়াল রেখে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।