
সেবা ডেস্ক: খুলনার ব্যস্ততম রূপসা ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় অর্ধলক্ষাধিক যাত্রী। কিন্তু ঘাটে ট্রলার মাঝিদের নিয়ম-নীতির কোনো বালাই নেই। নিয়ম-নীমি উপেক্ষা করে অধিকাংশ সময় ট্রলারে নেওয়া হয় অতিরিক্ত যাত্রী। রাতে অধিকাংশ ট্রলারে থাকেনা বাতি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের অভিযোগ রাত একটু হলেই একদিকে ট্রলারে নেওয়া হয় অতিরিক্ত যাত্রী অপর দিকে পারানি আদায় করা হয় তিন টাকার স্থলে জনপ্রতি পাঁচ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত মাঝি সংঘের কতিপয় কর্মকর্তার কারণে এ ঘাটে নানা অনিয়ম বাসা বেধেছে । বিশেষ করে মাঝি সংঘের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের তদারকি না থাকা ও খামখেয়ালীপনার কারণে ট্রলার মাঝিরা অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছে। দিনের বেলা জনপ্রতি পারানি তিন টাকা করে আদায় করলেও অধিকাংশ সময় ট্রলারে নেওয়া হয় অতিরিক্ত যাত্রী। অভিযোগ ওঠেছে, রাত একটু বেশি হলেই যাত্রীদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে পারানি আদায় করা হয়। এ নিয়ে অধিকাংশ সময় যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ট্রলার মাঝি সময়ের খবরকে বলেন, মাঝি সংঘের সভাপতি শাহাজাহান ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক হারেজ হাওলাদারের নানা আর্থিক অনিয়ম ও খামখেয়ালীপনার কারণে সুযোগ সন্ধানী মাঝিরা বেপরোয়াভাবে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে। নেতারা যদি কঠোর অবস্থানে থাকে তাহলে সাধারণ ট্রলার মাঝিরা এসব অনিয়ম করার সুযোগ পাবে না বলে নিরীহ মাঝিদের দাবি।
বটিয়াঘাটার বাইনতলা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদুর রহমান বলেন, রাত একটু হলেই একদিকে ট্রলারে নেওয়া হয় অতিরিক্ত যাত্রী। সেই সাথে পারানি আদায় করা হয় পাঁচ টাকা। তিনি বলেন, রূপসা ঘাটে ট্রলার মাঝিদের কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। তিনি আরও বলেন, পন্টুনে যাত্রী ওঠানামার জন্য নির্ধারিত ঘাট থাকার পরও অন্য স্থান থেকে মাঝে মাঝে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওঠা-নামা করতে হয় যাত্রীদের। রূপসাঘাট দিয়ে যাওয়া যাত্রী চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা মোঃ শামীম রূপসা ঘাটে ট্রলার মাঝিদের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বলেন, সন্ধ্যার পর ট্রলারে ওঠানো হয় অতিরিক্ত যাত্রী এবং পারানি আদায় করা হয় পাঁচ টাকা। নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডস্থ এলাকার বাসিন্দা যাত্রী মোঃ আবু জাফর শেখ বলেন, ‘রূপসা ঘাটে ট্রলার মাঝিদের অনিয়মের শেষ নেই। সন্ধ্যার পর অধিকাংশ ট্রলারে বাতি থাকে না। রাত একটু বেশি হলেই ট্রলার মাঝিদের শুরু হয় চরম খামখেয়ালীপনা। একদিকে যেমন ট্রলারে ওঠানো হয় অতিরিক্ত যাত্রী, সেই সাথে জনপ্রতি পারানি আদায় করা হয় পাঁচ টাকা।
পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত মাঝি সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারেজ হাওলাদার সময়ের খবরকে বলেন, ‘ট্রলারের পারানি পাঁচ টাকা করে নেওয়া যাবে না। কেউ পাঁচ টাকা করে আদায় করেছে এমন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কোনো মাঝি যদি ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী নেয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।