
সেবা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ইশতেহারে গ্রামকে শহরে রূপান্তরের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। আর সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। পরে অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার কারণে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বিকেল ৪টা ৫মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। বাজেট উত্থাপন শেষ হয় বিকেল পৌনে ৫টায়।
এ সময় সংসদনেতা বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর এ ধারণাটিকে ভিত্তি করে গ্রামের সকল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে গ্রাম পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র ও ওয়ার্কশপ স্থাপন, উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাতকরণে ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।’
উত্থাপিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পল্লী এলাকায় যোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপন, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি এবং কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানসহ প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সকল সুবিধা প্রদান এবং নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যেগ নেওয়া হবে।’ ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
"'সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ-
সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের'" শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।