এস এম আশরাফুল আজম: রৌমারী থেকে জামালপুর রাস্তাটি শুধু জামালপুর বকশীগঞ্জ ও রৌমারী নয়, সারাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তা। এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পণ্য ভারত থেকে আমদানী হয়ে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে যায়। এমনকি দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী তাদের উৎপাদিত পণ্য জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর স্থল বন্দর ও রৌমারী স্থল বন্দর এর মাধ্যমে রপ্তানী করে থাকেন এই গুরুত্বপূর্ন সড়ক ব্যবহার করেই। ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি হয়, লাভবান হয় এই এলাকাগুলোর সাধারন জনগন।
এই রাস্তায় চলাচল করেন কুড়িগ্রাম জেলা’র রৌমারী ও চর রাজীবপুর সহ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন ডিগ্রিরচর, পাথরেরচর ও সানন্দবাড়ি সহ কয়েকটি এলাকার জনগনও।
তাই কুড়িগ্রামের দুটি উপজেলা ও দেওয়ানগঞ্জ বকশীগঞ্জের জনসাধারন অনেকদিন থেকেই রাস্তাটির উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে আসছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালে ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর-রৌমারী সড়কটিকে মহাসড়ক প্রকল্পভুক্ত করা।
এবং ২০১৭ সালের ১ আগষ্ট মঙ্গলবার একনেক এর সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মহাসড়কের প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। যা বকশীগঞ্জের উন্নয়নের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক বরাদ্দ।
এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে মাটিসহ সড়কটি প্রশস্ত হয়েছে ৩০ ফুট এবং এই প্রকল্পে কামালপুর স্থল বন্দরে গাড়ী চলাচলের জন্য ১ কিলোমিটার রাস্তাও ধরা হয়েছে।
মহাসড়কের প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্পটির অনুমোদন হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় মহাসড়ক রূপান্তরের কর্মযজ্ঞ। আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে জামালপুর-বকশীগঞ্জ-ধানুয়া কামালপুর-রৌমারী মহাসড়কের বাস্তব ছবি।
সর্বশেষ বকশীগঞ্জের নয়াপাড়া মোড় থেকে রাস্তার কিছু অংশ নির্মান কাজ শেষও হয়েছে। ফলে এই অংশে রাস্তা ডাবল লেনে দৃশ্যমান হচ্ছে। ডাবল ল্যান রাস্তা দেখার জন্য বকশীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গার মানুষ এসে দেখে যাচ্ছে।
এ রাস্তা নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় এমপি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ কে অভিনন্দন জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলাধীন দুই উপজেলার জনগনসহ দেওয়ানগঞ্জ বকশীগঞ্জের এলাকাবাসী।
জেলা শহরের জামালপুরের সাথে বকশীগঞ্জের যোগাযোগের অন্যতম রাস্তাটি সরু থাকায় এতদিন এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ চরমভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছিল।
জামালপুর থেকে বকশীগঞ্জ মাত্র ৩৪ কিলোমিটার রাস্তা। এ রাস্তা পাড়ি দিতে ১ ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। আর মুসলমানদের ধর্মীয় বছরের দুটি ঈদ আগ মুহুর্তে জামালপুর থেকে বকশীগঞ্জে মাঝে মাঝে ৪/৫ ঘন্টাও লেগে যেত।
জামালপুর,-বকসীগঞ্জ সড়কে চলাচলে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে জনগন।এই রাস্তা নির্মান সম্পন্ন হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে বকশীগঞ্জ সহ রৌমারী রাজীবপুর ও প্রতিবেশি উপজেলা দেওয়ানগঞ্জের আমুল পরিবর্তণ আসবে বলে স্থানীয়রা জানান।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।