
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা করা হলে এবং জমি দখলের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চার জন আহত হয়েছে । সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এরমধ্যে একজন আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার ঘটনাটি ঘটেছে ধানুয়া কামলপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল ও মোখলেসুর রহমান সোনা গংয়ের সাথে একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন সরকারের মধ্যে ৭০ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল।দীর্ঘদিন মোকদ্দমা চলার পর গত ২৪ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালত তমিজ উদ্দিন সরকারের পক্ষে রায় দেন। একই সঙ্গে বিবাদী আব্দুল জলিল গংদের ওই জমিতে প্রবেশে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।
এই আদেশের পর থেকেই আব্দুল জলিল ও তার লোকজন ওই জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকেন। অবশেষে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আব্দুল জলিল, মোখলেসুর রহমান সোনা সহ তাদের লোকজন আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের উদ্দেশ্যে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটতে থাকে।
এমতাবস্থায় জমির মালিক তমিজ উদ্দিন সরকার ও তার ছেলে একরামুল হক মিষ্টার জমি দখলের বাঁধা দিলে আব্দুল জলিল ও মোখলেসুর রহমান সোনা সহ তাদের লোকজন উপর হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে তমিজ উদ্দিন সরকার (৮৫), একরামুল হক মিষ্টার (৪০) সহ চার জন আহত হয়।
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতের মধ্যে একরামুল হক মিষ্টারকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনার পর থানা পুলিশ মোখলেসুর রহমান সোনা ও আব্দুল জলিলকে আটক করেছে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মাহবুব আলম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মামলা হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।