
সেবা ডেস্ক: বকশীগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও দশানী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের ৫টি ওয়ার্ডসহ, কামালপুর, বগারচর, সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের ১৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষগুলো সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে আবু বক্কর (৭০) নামে এক বৃদ্ধ পানিতে ডুবে মারা যায়। অপরদিকে একই দিনে মেরুরচর ইউনিয়নের ঘুগরাকান্দি গ্রামে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের সীমারপাড়া গ্রামের শাহজাহানের পূত্র সুজন বন্যার পানিতে গোসল করতে গেলে পানিতে নিখোঁজ হয়। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক মিয়ার মাদ্রসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মাজ্জাত হোসেন দশানী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। জেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল রাতভর তল্লাশি চালিয়ে নিখোজঁ ছাত্রের সন্ধান পায়নি।
এদিকে বন্যা দূর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। এসব দূর্গত মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় আশ্রয়হীন মানুষগুলো বড় রাস্তা, উচু সড়কে,দোতালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র অভাব দেয়া দিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে নিত্য প্রয়োজনী খাদ্য খাবার প্যাকেট বিতরন করছেন। যা প্রয়োজন তুলনা অত্যন্ত অপ্রতুল।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।