রৌমারীতে বন্যার ছোবলে দিশেহারা মানুষ

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে বন্যার ছোবলে দিশেহারা মানুষ
শফিকুল ইসলাম,রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় এবং ভারতের আসাম সীমান্ত ঘেষা উপজেলা রৌমারীর ৬টি ইউনিয়নের ৫২ হাজার পরিবারেই ব্রহ্মপুত্র নদ, জিঞ্জিরাম নদী ও ধর্ণি নদী দ্বারা প্রবাহিত হয়ে আসা ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি ১০৩ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুকনো খাবার ও গো-খাদ্য সংকটে পানিবন্দি মানুষ দিশেহারা।

গত ২০ জুলাই পানি কমতে শুরু করলেও বাধঁ, বেরীবাধঁ, তুরারোড ও রৌমারী উপজেলা সদর ডিসি রাস্তাসহ  সংযোগকারী রাস্তাগুলি যত্রতত্র ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও গত ২৩ জুলাই আকর্ষিক ভাবে এলসি স্টেশন মুখি তুরা রোড চরম হুমকিতে। যে কোন মুহুর্ত্যে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়া লেখা বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ গরু মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি ও গৃহস্থালি মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে। বহু পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে, ডিসি রাস্তায়, তুরা রাস্তায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ব্রীজের উপর এবং উচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। মানুষের খাদ্যের তেমন অভাব না থাকলেও রান্নার সংকটে পড়েছে। প্রতিটি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের ও গো-খাদ্যের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

তাছাড়া সরকারী বে-সরকারী সমস্ত পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকের বীজতলা ধান, পাট, আখ, কাউন, তিল রোপা ধান ও শাকসবজি ইত্যাদি তলিয়ে গেছে। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রতিটি পরিবারেই ভয়াবহ বন্যার ছোবলে আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

সরকারী ভাবে বন্যার শুরু থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্যাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায় ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমানসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ বন্যার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিআর ১১০ মেঃ টন চাউল, জিআর নগদ অর্থ ১লাখ ৫০ হাজার টাকার শুকনা খাবার, ২০ হাজার টাকা বিদ্যুত পৃষ্টে মৃত্যু ব্যক্তির পরিবারকে অনুদান। তৎসঙ্গে নতুন ভাবে ১হাজার ২শত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, ত্রাণ সামগ্রীর অপূর্নতা থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমানে আসতেছে।

রৌমারী উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, এ উপজেলার জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত চাউল, নগদ অর্থ ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তিনি আরো জানান, জরুরী ভিত্তিতে জিআর চাউল ২শত মেঃটন, জিআর নগদ অর্থ ১কোটি এবং ১০হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চাহিদা পাঠানো হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক রৌমারীতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর জন্য ত্রান সামগ্রী পৌছানো অত্যাবশ্যক।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top