
শফিকুল ইসলাম,রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে কয়েকদিনের ভারিবর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রবিবার থেকে ১৪ জুলাই/১৯ পর্যন্ত এক সপ্তাহে থেমে থেমে মুষলধারায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এ গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। ৬ টি ইউনিয়নের গ্রামগুলো হলো রৌমারী সদর ইউনিয়নে- চান্দারচর, নতুনবন্দর, চর নতুনবন্দর , ইজলামারী,পশ্চিম বারবান্ধা, বড়াইবাড়ী, ঝাউবাড়ি, পুর্ব মাদারটিলা, ভুন্দুরচর, ঠনঠনিপাড়া পুর্ববারবান্দা ও চুলিয়ারচর, শৌলমারী ইউনিয়নের সবুজপাড়া বাউশমারী, বেহুলারচর, মোল্লারচরের, কলমেরচরে, বন্দবেড় উনিয়নের-বলদমারা, বাগুয়ারচর, বাইশপাড়া পশ্চিম খন্জমারা, ফুলুয়ারচর, খানপাড়া, কুটিরচর, বাঘমারা যাদুরচর ইউনিয়নের-পশ্চিম দিগলেপাড়া,পাখিউড়া, ধনারচর, চরেরগ্রাম, খেয়ারচর, লাঠিয়ালডাঙ্গা, বকবান্ধা, পুরাতনযাদুরচর, ধুবলাবাড়ি, লালকুড়া, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের গাছবাড়ি, কাজাইকাটা ডিগ্রীরচর, ধনতোলা, ছোটধনতলা, চরশৌলমারী ইউনিয়নের-সোনাপুর ঘুঘুমারী,পূর্ব:খেদাইমারী, সুখেরবাতি, কাজাইকাটা।
উক্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কাঁচাঘর বাড়ী,রাস্তাঘাট, রোপা আমন ধানের বীজতলা, পুকুরের মাছ,স্কুল প্রাঙ্গন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্ধি হয়েছে প্রায় পচিশ হাজার মানুষ, গৃহপালিত গরুছাগল, হাঁস মুরগী নিয়ে মানুষ খুব বিপদের মধ্যে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষজন পাড় ভাঙ্গার ফলে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা কৃষিঅফিস সুত্রে জানা যায়, অদ্য পর্যন্ত আউস ধান ৮০ হেক্টর, আমন বীজতলা-০৮হেক্টর ,শাকসবজি-১০হেক্টর বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠেছে। রৌমারী উপজেলার অনেক রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ভেঙ্গে নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বলদমারা ঘাটে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় থেকে গাছবাড়ি রাস্তার কাউনিয়ারচর স্থান ভেঙ্গে গেছে, ৩/৪টি স্থান খুব ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন সময়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।
পিআইও অফিস সুত্রে জানা যায় যে, বন্যার্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৮৭ বান্ডিল ঢেউটিন, ২লক্ষ ৬১হাজার নগদ টাকা বিতরন করা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য নতুন করে চাউল ৫টন ও ৭০ হাজার টাকা ও ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এক প্যাকেট শুকনা খাবারের মধ্যে রয়েছে-চাউল-১০কেজি, ডাল-১কেজি, সয়াবিন তৈল-১লিটার, চিনি-১কেজি, লবন-১কেজি, চিড়া-২কেজি, নুডস-৫০০গ্রাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায় বলেন, বন্যার পরিস্থিতি এখনও ভালো না। দিনদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।