ধুনটে ধর্ষনে জন্ম নেওয়া ছেলেসহ মা আত্মগোপনে

S M Ashraful Azom
0
ধুনটে ধর্ষনে জন্ম নেওয়া ছেলেসহ মা আত্মগোপনে
রফিকুল আলম, ধুনট : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নানা-নাতির ধর্ষনের শিকার হয়ে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়া এক স্কুলছাত্রী ও তার পরিবার লোক লজ্জায় গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে দূর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনে জন্ম নেওয়া সন্তানের মা স্কুলছাত্রী উপজেলার ছোট চিকাশি-মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। মেয়েটির মা-বাবার প্রায় ৬ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর জীবিকার তাগিদে মা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি নেয়।

আর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে। মেয়েটি মা-বাবা থেকেও যেন নেই। তাই একই এলাকার কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা রশিদ মন্ডলের বাড়িতে আশ্রয় নেয় মেয়েটি। সেখান থেকে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। স্কুলে যাতায়াতের পথে পার্শ্ববতি রঘুনাথপুর গ্রামের অফফের আলীর ছেলে বকুল হোসেনের সাথে (২৩) তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটির সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বকুল হোসেন। গত ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষনের সময় ধরে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষন করে। ধর্ষনে মেয়েটি অন্তঃসত্বা হলে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও তার নাতি বকুল হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার পর থেকে অন্তঃসত্বা মেয়েকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপনে রয়েছে। এ অবস্থায় ধর্ষনের শিকার স্কুলছাত্রী ১ জানুয়ারী পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এই মামলার আসামী বকুল হোসেন ও রশিদ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার ছোট চিকাশি-মোহনপুর গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা জানান, সাবেক ইউপি সদস্যর মেয়েকে নিয়ে অঘটনের কথা শুনেছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা-মোর্কদ্দমা হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজে মাঝে মধ্যে পুলিশ গ্রামে আসেন। প্রায় ৭/৮ মাস ধরে মেয়েটি গ্রামে থাকেন না। কোথায় আছে তাও জানেন না বলে দাবী করেন গ্রামবাসি।   

ধুনট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ধর্ষনে জন্ম নেওয়া সন্তানের মা তার পরিবারের সাথে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে মোবাইল ফোনে ডাকলে তারা থানায় আসেন। মেয়েটির সন্তানের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করতে আসামী বকুল হোসেন ও রশিদ মন্ডলের ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষার কাজ চলমান রয়েছে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top