বকশীগঞ্জে শিশু আয়শার চিকিৎসা করাবেন ইউএনও

S M Ashraful Azom
0
বকশীগঞ্জে শিশু আয়শার চিকিৎসা করাবেন ইউএনও
সেবা ডেস্ক: বকশীগঞ্জে অসহায় শিশু বুশরা আক্তার আয়শার (১০) চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম । ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে আয়শা ও তার বাবা দরিদ্র সিএনজি চালক চানঁ মিয়াকে ডেকে নিয়ে বিস্তারিত জেনে সু-চিকিৎসার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে আয়শাকে ভারতের চেন্নাই হাসপাতালে পাঠিয়ে অপারেশনের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি ।
ওই সময় মাদ্রাসা ছাত্রী আয়শার পাশে দাড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতিও আহবান জানান ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ইউএনও’র আশ্বাসে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন আয়শার দরিদ্র বাবা চানঁ মিয়া।

এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি সাঈদা পারভীন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়,মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মফিজ উদ্দিন,আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন ফুরকান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াছমিন স্মৃতি,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ,বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ লায়ন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই “ বিভিন্ন অনলাইনে “শিশু সন্তানকে বাচাঁকে অসহায় বাবার আকুতি”শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নজরে আসে।

শিশুটির বাবা সিএনজি চালক আবদুর রাজ্জাক ওরফে চানঁ মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মেয়ের কষ্ট আর সহ্য হয়না। আজ আমার মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ইউএনও স্যার। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। মহত মানুষটির জন্য সারাজীবন দোয়া করবো।

জানা যায়,বকশীগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা সিএনজি চালক আবদুর রাজ্জাক ওরফে চানঁ মিয়ার ১০ বছর বয়সী মেয়ে বুশরা আক্তার আয়শা। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেনীতে পড়ে। আয়শার বয়স যখন ৭ বছর তখন তার বাম চোখের সমস্যা দেখা দেয়। চোখটি ফুলে অনেক বড় হয়ে গেছে। যে কারনে সে ঠিকমত ঘুমাতে পারেনা। তখন থেকেই অতিকষ্টে দ্বারদেনা করে মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে আসছে দরিদ্র পিতা চাঁন মিয়া। জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সবশেষ চলতি মাসে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে শিশু আয়শাকে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য।

পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আয়শার চোখের অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করতে ও যাবতীয় খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু দরিদ্র সিএনজি চালক চানঁ মিয়ার পক্ষে ৮০ হাজার টাকা যোগাড় করা অসম্ভব। তাই অপারেশন না করিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে মেয়েটি চোখের যন্ত্রনায় অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। তাই নিরুপায় হয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগীতায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে ফুটফুটে শিশু আয়শা।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top