ধুনটে আবাসিক এলাকায় দূষিত পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

S M Ashraful Azom
0
Contaminated water in dense residential areas disrupts public life
রফিকুল আলম,ধুনট : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আবাসিক এলাকায় মাছ চাষের নামে জলাশয়ের পানি দুষিত করায় জনস্বাস্থ্য হুমকিরমুখে পড়েছে। পানির দূর্গন্ধে পারিবেশের ক্ষতিসহ জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে বানুখার দিঘি নামে সরকারি একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়ের আয়তন ৪ একর ৭২ শতক। এই জলাশয়ের চারদিকের পাড়ে ভ‚মিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য ১৯৯৬ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা গুচ্ছগ্রাম গড়ে তুলেছে। সেখানে ৬০টি পরিবার মাথাগোঁজার ঠাই করে নিয়েছে।

গুচ্ছগ্রামের ভ‚মিহীন পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ওই জলাশয়ে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এছাড়া গৃহস্থালী কাজে জলাশয়ের পানি ব্যবহার করেছে। কিন্ত ৬ মাস আগে জলাশয়টি উপজেলা পরিষদ থেকে তিন বছর মেয়াদে ইজারা বন্দোবস্ত দিয়েছে। স্থানীয় মথুরাপুর গ্রামের মকুল চন্দ্র হওয়ালদার জলাশয়টি সাড়ে ৪ লাখ টাকায় ইজারা বন্দোবস্ত নিয়েছেন।

জলাশয়ে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছেন। মাছের খাদ্য তৈরীর নামে জলাশয়ের পানিতে সার, মুরগীর বিষ্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ছিটিয়ে দিয়েছে। ফলে পানি দূষিত হয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পানি। এতে পরিবেশের ক্ষতিসহ জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গুচ্ছগ্রামবাসি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছে।

ওই গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ বলেন, জলাশয়ে মাছ চাষ করে এই গ্রামের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন মাছ চাষের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় গ্রামের মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছে। এছাড়া জলাশয়ের পানি ব্যবহার করতে গেলে নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বর্তমানে পানি দূষিত হওয়ায় এখানে বসবাস করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ভাবে উদ্যেগ নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এ কারনে গ্রামবাসিকে আইনী সহায়তা পেতে উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

এবিষয়ে মকুল চন্দ্র হাওয়ালদার বলেন, মাছের খাবারের জন্য জলাশয়ে বিভিন্ন ধরনের সার প্রয়োগ করেছি। এতে পানি কিছুটা বিবর্ণ হয়েছিল। বর্তমানে বৃষ্টিতে পানি পরিস্কার হয়ে গেছে। এতে গ্রামবাসির কোন ক্ষতি হবে না। তারপরও একটি মহল শত্রæতা করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, গ্রামবাসির অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top