
সেবা ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির তৈরী হচ্ছে। আগামী ২৭ আগস্ট জাপানে দুই জাপান-বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে।
২৫ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জাপান যাচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। জাপান সরকার বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মত দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই সমঝোতার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। দুই দেশই খসড়া অনুমোদন করেছে।
জাপানের বিশেষায়িত সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আইএম) জাপান'-এর সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক সমঝোতার মাধ্যমে গত বছর থেকে সীমিত পরিসরে কিছু কর্মী যাওয়া শুরু করেছে।
২০১৫ সালে জাপান পাঁচ বছরে শিল্পকারখানা, নির্মাণকাজ, সেবাদানকারীসহ ১৪টি খাতে সাড়ে তিন লাখ দক্ষ জনশক্তি নেয়ার ঘোষণা দেয়। চীন, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে জনবল নেয়ার জন্য চুক্তি করেছে জাপান। এখন দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি হলে বিশাল এ বাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, জাপানের সঙ্গে যে চুক্তি হতে যাচ্ছে, তাতে দেশটিতে ৯টি ট্রেডে লোক পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নার্স, পরিচর্যা সেবাদানকারী, নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিক অন্যতম। জাপানে লোক পাঠানোর জন্য দেশের ১১টি রিক্রুটিং এজেন্টকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এসব এজেন্ট প্রতিষ্ঠান জাপান যেতে ইচ্ছুকদের দক্ষতা সৃষ্টিরও কাজ করবে। বিশেষ করে ভাষা শেখানোর কাজ করবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ২৭টি কেন্দ্রে ৪০ জন করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।
চার মাস মেয়াদি জাপানি ভাষা শেখার প্রশিক্ষণের পর তারা পরীক্ষায় বসেন। উত্তীর্ণ হলে আইএম জাপানের ব্যবস্থাপনায় আরো চার মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর শিক্ষানবিশ হিসেবে তাদের জাপানে নিয়ে যাওয়া হয়। চুক্তি হওয়ার পরেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বিএমইটির কর্মকর্তারা বলেন, জাপান বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বড় বাজার হতে পারে। এর অন্যতম কারণ জাপানে পরিচর্যা সেবা ও নার্সিংয়ের জন্য লোকের চাহিদা অনেক। দেশটিতে বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ খাতে চাহিদা বেশি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকের দক্ষতা ভালো। কৃষি ও নির্মাণ খাতেও বাংলাদেশ থেকে যেসব লোক বিদেশে গেছেন, তারা সুনাম করেছেন। ফলে জাপানের বাজারে ঢোকার সুযোগ পেলে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে যেতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।