
সেবা ডেস্ক: ঢাকায় ঈদুল আজহার পশু কোরবানি শেষে তা গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিলি-বিতরণ শেষ হয়েছে। আর এদিন বিকেল থেকেই নগরীর মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে কোরবানির মাংস বিক্রির অস্থায়ী বাজার।
সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, রায়ের বাজার, পশ্চিম নাখালপাড়া, মহাখালি রেলগেট, আজিমপুর, টিকাটুলিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র।
ঈদের দিন বিকেল থেকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলবে ‘গরিবের মাংস’ বেচাকেনা। মূলত এসব মাংস ঈদের দিন সকাল থেকে বাসা-বাড়ি ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেন গরীব লোকেরা।
আবার অনেকে একদিনের ‘কসাই’ হয়ে কাজ করেছেন। কাটাকাটির পর সেখান থেকে পেয়েছেন মাংস। কোনো কসাই আবার মাংস কেটে টাকার বদলে মাংস নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ চেয়ে নেয়া অল্প অল্প মাংস জমিয়ে ছোট ব্যাগে ভরে এসব বিক্রি করতে এসেছেন। অনেকে বিভিন্নজনের কাছ থেকে এই অল্প মাংস কিনে জড়ো করে অস্থায়ী দোকান খুলেও বসেছেন।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে, রেললাইনের পাশে বা যত্রতত্র পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মহিলা ও পুরুষ এসব মাংস বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, নিম্নআয়ের এসব মানুষের নিজেদের মাংস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই খাওয়ার জন্য কিছু মাংস তারা রাখে। বাকিটা বিক্রি করে টাকা পাওয়ার আশায় চলে যান গরিবের অস্থায়ী মাংসের হাটে।
নিম্নবিত্ত বা যাদের কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই, তারাই এসব মাংসের ক্রেতা। আবার জানা গেছে, বিক্রি করা এসব মাংস রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত রেস্টুরেন্টেও যায়।
এদিকে কেজি হিসাবে এসব মাংস বিক্রি হচ্ছে না, যা প্রতি ভাগা বা ব্যাগ ধরে ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হচ্ছে। শুধু মাংস নয় এসব বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভূড়ি, পা, আস্ত মাথা বা মাথার মাংসও। এসবের দাম আবার ভিন্ন ভিন্ন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।