
সেবা ডেস্ক: বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ছোনবুনিয়া গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধ আব্দুল রশিদ হাওলাদার। একটি খুপড়ি ঘরে একাই বসবাস করছেন। কখনো খেতে পায় আবার কখনো না খেয়েই কাটাতে হয় তাকে। নিজের সব সম্পত্তি ছোট ছেলের নামে লিখে না দেওয়ায় প্রতিনিয়তই তার (ছোট ছেলের) নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অশীতিপর বৃদ্ধ আব্দুল রশিদ হাওলাদার।
বরগুনার বামনা উপজেলার ছোনবুনিয়া গ্রামে তার বাড়ি। একটি খুপড়ি ঘরে একাই বসবাস করছেন। কখনো খেতে পায় আবার কখনো না খেয়েই কাটাতে হয় তাকে।
স্ত্রী ও তাকে ছেড়ে ছোট ছেলের কাছে থাকেন। অথচ এক একর ৬৫ শতাংশ জমির মালিক তিনি। দুই ছেলে আর চার কন্যা সন্তানের জনক রশিদ হাওলাদার সবাইকে বিয়ে দিয়েছেন। যে যার মতোন কাজ কর্ম করে নিজেদের সংসার গুছিয়েছেন।
নির্যাতিত বৃদ্ধ বাবা জানান, ছোটছেলের আলিশান রংকরা টিনসেট ঘরের পাশে একটি ঘুপরী ঘরে থাকি আমি। জমিজমা লিখে না দেওয়ায় প্রায় তিনমাস আগে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
ভাঙ্গা পা নিয়ে তিনি এখন শয্যাশায়ী। একদিকে চলার অক্ষমতা অন্য দিকে পেট ভরে দুমুঠো ভাত খেতে না পাওয়ায় প্রতিদিনই মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনছেন ওই বৃদ্ধ।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, বাবারা তোমরা চলে গেলে আবারো মারবো, মুই তহন কি হরমু? তোমাগো পামু কই? মোরে এইহান দিয়া উদ্ধার কইরা লইয়া যাও। জাহাঙ্গীর মোরে মাইরা হালাইবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফরিদ হোসেন বলেন, এই বৃদ্ধ তার বড় ছেলের কাছে যেতে চায় কিন্তু ছোট ছেলে তাকে জোড় করে এখানে আটকে রাখছে।
জমি লিখে না দিলে এখান থেকে কোথাও যেতে পারবেনা বলে অনেক বার হুমকিও দিয়েছে। এখানে আটকে রেখে জমি লিখে নেওয়ার জন্য প্রতিদিন তাকে নির্যাতন করে।
প্রতিবেশী আ. জলিল জানায়, ছোট ছেলে বাবার পা ভেঙ্গে দেওয়ার পরে স্থানীয় শালিসী বসে। এতে সিদ্ধান্ত হয় বৃদ্ধ বাবার চিকিৎসা করানোর পরে জমি জমা নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা হবে। অথচ ছোট ছেলে বাবার কোন চিকিৎসাই করায়নি। উল্টো তাকে মারধর করে আরো অসুস্থ্য করেছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।